জীববৈচিত্র ও পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য এবার দুটি ক্যাটাগরিতে জাতীয় পরিবেশ পদক পাচ্ছেন মুকিত মজুমদার বাবু ও অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। আর ৩ জন পাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অ্যাওয়ার্ড। এছাড়াও পুরস্কার পাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান- র্যাবও ।
এবারই প্রথম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠানের ফান্ড কাটছাট করে অর্ধেকেরও বেশী টাকা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে সারাদেশে । রাজধানীর ১শটি স্কুল-কলেজকে ১০ হাজার টাকা করে, ৬৪ উপজেলার ১২৮ স্কুলকে ৪ হাজার টাকা করে এবং প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ৫ হাজার টাকা এবং ৩৯ জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে ১০ হাজার টাকা করে। জাতীয় অনুষ্ঠান আরো পরে হলেও জাতীয় পরিবেশ পদক প্রাপ্তির বার্তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে পদকপ্রাপ্তদের।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রইছ উল ইসলাম মন্ডল বলেন, “পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষা প্রচার এই ক্যাটাগরিতে আমরা প্রকৃত জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব মুকিত মজুমদার বাবুকে উনার বিস্তৃত কাজ, প্রকৃতি, জীব-বৈচিত্র, পরিবেশের উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকাশনা এবং প্রচার ও মানুষকে সচেতন করে তোলার প্রয়াস এসকল বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করেছি।”
সচেতনতা ও শিক্ষা প্রসার ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে এবার জাতীয় পরিবেশ পদক পাচ্ছেন মুকিত মজুমদার বাবু । প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসাবে চ্যানেল আইতে পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষামূলক সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানসহ প্রান্তিক পর্যায়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করে চলেছেন তিনি ।
এই পুরস্কারপ্রাপ্ত আরেকজন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার গুরত্বপূর্ণ ভুমিকার জন্য এবার তাকে দেয়া হচ্ছে এই পুরস্কার ।
প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুছ আলী বলেন, “সরকারি পদক জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক পাবেন। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বন্যপ্রাণী পাচার বিরোধী প্রচারণা দক্ষতার সাথে, আন্তরিকতার সাথে সারা দেশে চালিয়ে যাচ্ছে বন বিভাগের সহায়তায়। এই কারনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে এই বছর একটি পুরস্কার দেয়া হবে বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়ার্ল্ড লাইফ কনজারভেশন।”
আর বঙ্গবন্ধু বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মণিরুল এইচ খান, নওগাঁর মহিদুর রহমান এবং রাজশাহীর হামিদ মাস্টার । বন্যপ্রাণী ও এর চামড়া পাচাররোধে ধারাবাহিক অবদানের জন্য পুরস্কার পাচ্ছে র্যাবও ।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বনের পশুপাখি মেরে ফেলছে অথবা তাদের চামড়া নিয়ে বিক্রি করছে এই ধরনের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কাজগুলোর বিরুদ্ধে তারা সুন্দর প্রচারণা করছেন এবং জানার ব্যবস্থা করছেন। তাদের পুরস্কৃত করার মূল উদ্দেশ্য এটা।”
বাজেট ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের কারণে এবার ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিনে অনুষ্ঠানটি হয়নি। প্রায় প্রতিবছর প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেন পদকপ্রাপ্তরা। শিগগিরই পদকপ্রাপ্তদের হাতে ওই পুরস্কার তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।