বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে একটি ম্যাচ খেলা মেহেদী হাসান সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলের নেটে বোলিং করার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে মঙ্গলবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নেটে মুমিনুল-সাদমানদের বোলিং করেছেন ১৯ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার।
জাতীয় দলের নেটে বোলিং করার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনের উদাহরণ কম নেই ক্রিকেটে। কোচদের মনে ধরে গেলে দ্রুতই খুলে যায় দরজা। মেহেদী ম্যাজিকেল কিছুর আশা নিয়ে চট্টগ্রাম যাননি। মাঠে থাকার সুযোগকেই বড় করে দেখছেন কুমিল্লার তরুণ।
‘বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ শেষ হওয়ার পর বসেই ছিলাম। দ্রুতই বল হাতে নেয়ার সুযোগ হবে ভাবিনি। যখন ক্রিকেট বোর্ড থেকে ডাকা হল, একমুহূর্ত দেরি করিনি। গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম চলে আসি। জাতীয় দলের নেটে গতকাল প্রথম বোলিং করলাম। অভিজ্ঞতা খুব ভালো। পেস বোলিং কোচ (ওটিস গিবসন) ছিলেন। মুমিনুল-সাদমান ভাইরা ভালো বলেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন।’
বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ শুরুর আগে ফিটনেস পরীক্ষায় সেরা হয়েছিলেন মেহেদী। বিপ টেস্টে তুলেছিলেন সর্বোচ্চ স্কোর (১৩.৬)। পরে সুযোগ চলে আসে গাজী গ্রুপের হয়ে খেলার।
বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে নেটে বোলিং করছেন ৯ বোলার। মেহেদী ছাড়া বাকিরা চট্টগ্রামের স্থানীয়। সবাইকেই থাকতে হচ্ছে টিম হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ে।
বিসিবি চিকিৎসক মঞ্জুরুল হোসাইন চৌধুরী জানালেন, ‘খেলোয়াড়দের মতোই দু’বার করোনা টেস্টে নেগেটিভ হওয়ার পর হোটেলে তোলা হয়েছে নেট বোলারদের। মাঠে যাওয়ার আগে চারদিন তাদের থাকতে হয়েছে আইসোলেশনে।’