প্রথমবারের মতো রাজধানী থেকে জাতীয় গ্রীডে যোগ হচ্ছে ১০৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।আগামী বছরের মাঝামাঝি আরো দুটি কেন্দ্র থেকে যোগ হবে আরো ২১৬ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, সাভার ইপিজেড, ট্ঙ্গাাইলের আইটি পার্কসহ রাজধানীর বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরব্ছিন্ন করতে ঢাকার চারপাশে গড়ে তোলা হচ্ছে বিদ্যুৎ রিং ।
রায়ের বাজার বদ্ধভূমির পশ্চিমে বসিলায় বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে এবছরের শুরুর দিকেই নির্মাণ শুরু হয়েছিল এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের। জার্মানীর দীর্ঘমেয়াদি টেকসই যন্ত্রাংশ দিয়ে দশমাসেই শেষ হয়েছে নির্মাণ কাজ। জার্মানী আর ভারতীয় প্রকৌশলীদের সঙ্গে পরীক্ষামূলক উৎপাদনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছেন দেশীয় প্রকৌশলীরা।
বসিলা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইঞ্জিনিয়াররা কমিশনিংয়ের কাজ করছেন, তাদের কমিশনিং শেষ হলেই এটা জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবারহ করবে।
জ্বালানি তেল ভিত্তিক এ কেন্দ্র দীর্ঘমেয়াদি। এ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যোগ করতে আমিনবাজার সাবস্টেশনের সঙ্গে সংযোগের ট্রান্সমিশন লাইনের কাজও শেষ হয়েছে। প্রস্তুত হয়েছে নতুন দু’টি কেন্দ্রের ভূমিও ।
মাইসা গ্রুপের চেয়ারম্যান আসলামুল হক জানালেন, মাত্র দশ মাসে এই কেন্দ্রটি করতে সক্ষম হয়েছি। আগামী যে দু’টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র আসছে ঢাকা উত্তর দক্ষিণে ১০৮ মেগাওয়াট। এই দুটি কেন্দ্র আগামী ২০১৬ সালের মে ও জুন মাসের মধ্যেই জাতীয় গ্রিডে যাবে।
স্বল্পসময়ে গড়ে ওঠা এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে স্বাগত জানিয়ে রাজধানী ঘিরে বিদ্যুৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বসিলায় তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে। একটা ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে, ঢাকাকে আমরা একটা গ্রিডের আওতায় নিয়ে এসে ভালো সার্পোট দিতে চাই। তাহলে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আমাদের বেমী করে সার্পোট দিবে। কালিয়াকৈর এ একটা বড় আইটি পার্ক হতে চলেছে, সেখানেও আমাদের একটি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকতে হবে।
উদ্যোক্তারা আশা করছে, আগামীমাসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমটির উদ্বোধন এবং নতুন দুটির ভিত্তি স্থাপন হতে পারে।