প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন
সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ১১ ডিসেম্বর সাধারণ পরিষদের এক সভায় উপস্থিত সকল সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে এই
রেজুলেশন গৃহীত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন রেজুলেশনটি উপস্থাপন করেন। প্রস্তাব উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়টির প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে এবং এ কারণে তিনি সমাজের সকলকে সাথে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন।’
স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, ‘সকল মানুষই ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রত্যাশী। আর শান্তির সংস্কৃতি’র বিকাশ ও চর্চা হচ্ছে বিভেদ এবং বিভাজনের মতো বিষয়গুলোকে সৃজনশীলতার মাধ্যমে সমাধান করা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১৯৯৭ সালে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি প্রথম উপস্থাপন করে। যা সাধারণ পরিষদে রেজুলেশ হিসেবে পাশ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ‘শান্তির সংস্কৃতি দশক’ বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়।
২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ রেজুলেশনটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে যা প্রতিবছরই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হচ্ছে।
এই প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে – ‘অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা সমাজ থেকে দুরীভূত হলে বিশ্বে শান্তি দীর্ঘায়িত ও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।’
এবারের প্রস্তাবে শিশু ও যুবকদের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে তারা শান্তি, সহিষ্ণুতা, উদারতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মতো মানবিক গুণের চর্চার মাধ্যমে সমাজে শান্তির সংস্কৃতি বিকাশে আরও নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত হতে পারে।
এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ৬০টি দেশ বাংলাদেশের এই রেজুলেশন কো-স্পন্সর করেছে। সকল সদস্য রাষ্ট্রই প্রস্তাব বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।