নর্থ কোরিয়ার উপর নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ৷ নতুন এই অবরোধ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ে পেট্রোলিয়াম সরবরাহ সীমিত করা হবে এবং উত্তর কোরিয়ার যেসব কর্মী বিদেশে আছেন, তাদের দেশে ফিরে যেতে হবে৷ এই নিষেধাজ্ঞাকে নর্থ কোরিয়া ‘যুদ্ধ আইন’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
বিবিসি জানায়, নর্থ কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জের ধরেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ৷ শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এই বিষয়ের উপর ভোটাভুটি হয়৷ রাশিয়া চীনসহ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের সবাই যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি নিষেধাজ্ঞার খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়৷
নতুন এই নিষেধাজ্ঞা নর্থ কোরিয়ার অর্থনীতিতে খারাপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত এই প্রস্তাবে নর্থ কোরিয়ায় বছরে ৪০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, কেরোসিন এবং ডিজেল সরবরাহ সীমিত করে ৫ লাখ ব্যারেলে নামিয়ে আনা হয়েছে।এছাড়া প্রস্তাবে আগামী দু’বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে৷ ইতোমধ্যেই জাতিসংঘ বলছে, রাশিয়া ও চীনে লাখো শ্রমিককে ক্রীতদাসের মতো কাজ করার জন্য পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া, যাতে তারা দেশে বিদেশি মুদ্রা পাঠাতে পারেন৷
দেশটির বৈদ্যুতিক ও অন্যান্য যন্ত্রপাতিসহ পণ্য রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ এছাড়া ব্যাংকিং সেক্টরে কাজ করা ১৬ জন উত্তর কোরীয় কর্মকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে৷
The United Nations Security Council just voted 15-0 in favor of additional Sanctions on North Korea. The World wants Peace, not Death!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) December 22, 2017
এ নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব পাস হওয়ার পর এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই পৃথিবী শান্তি চায়, মৃত্যু না।
নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘেরই এর আগে আরোপ করা একাধিক অবরোধের আওতায় আছে এ দেশটি। কিন্তু এত কিছুর পরেও পিয়ংইয়াংকে তাদের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা থেকে বিরত রাখা যাবে কি না সে প্রশ্নও এসেছে শুক্রবারের আলোচনায়।