কেনিয়া থেকে ৫ লাখ সোমালিয়ান শরণার্থী সরিয়ে নিয়ে ‘দাবাব’ শরণার্থী ক্যাম্প বন্ধ করতে জাতিসংঘকে আহ্বন জানিয়েছেন কেনিয়ার উপ-রাষ্ট্রপতি উলিয়াম রুটো। শনিবার তিনি ওই আহ্বন জানান।
গত ২ এপ্রিল সোমালিয়ার আল-শাবাব জঙ্গি গ্রুপ কেনিয়ার গার্সিয়া শহরের একটি ইউনিভার্সিটিতে হামলা চালিয়ে ১৪৮ জন শিক্ষার্থীদের হত্যা করেছে। ওই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে কেনিয়া এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উলিয়াম রুটো বলেন, ইউএনএইচসিআর এর কাছে দাবাব ক্যাম্প বন্ধ করে শরণার্থীদের জন্য অন্য ব্যবস্থা করতে ৩ মাস সময় আছে। অন্যথায় কেনিয়া নিজে থেকেই শরণার্থীদের সরানোর ব্যবস্থা করবে।
তিনি আরো বলেন, ‘৯/১১ এরপর আমেরিকা যেভাবে বদলে গিয়েছিল গার্সিয়া হামলার জন্য কেনিয়াও তার আচরণ বদলে ফেলবে। সোমালিয়ার সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলেও যে কোন মূল্যে নিজ দেশের নিরাপত্তা বজায় রাখবে কেনিয়া।’
বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর প্রধান জানান, তাদেরকে ওই ক্যাম্প বন্ধ করতে বলা হয়নি।
আল-শাবাব জঙ্গিরা দাবাব ক্যাম্পে আত্মগোপন করে বলে অভিযোগ করেছিলেন কেনিয়ার সরকার ও মন্ত্রীরা। আল-শাবাব জঙ্গিদের প্রতিহত করতে সোমালিয়ার বর্ডারে ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ দেয়াল তৈরি করা শুরু করেছে কেনিয়া।
১৯৯১ সালে সোমালিয়ায় সংঘর্ষের পর কেনিয়াতে আফ্রিকার সব চেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্প ‘দাবাব’ স্থাপন করা হয়েছিল। শরণার্থীরা প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে দাবাব ক্যাম্পে আছেন।