বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনীতির কথা বলেছিলেন। আজ আমরা বিশ্বায়নের যুগে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে জাতির জনকের সেই আদর্শকেই হৃদয়ে ধারণ করার চেষ্টা করছি।
মঙ্গলবার বিজিএমইএ দপ্তরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় জাতির পিতার কর্ম ও জীবন এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অনন্যসাধারণ নেতৃত্ব ও ভূমিকা পালন এবং জনগণের ক্ষমতায়ন, মানবাধিকারের সুরক্ষা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির বিষয়ে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বদান বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালে যুক্তফন্ট্রের হয়ে সংসদে এলে তাকে ১৯৫৫ সালে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়। ১৯৫৭ সালে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি ইষ্ট পাকিস্তান’স স্মল অ্যান্ড কটেজ ইন্ডাষ্ট্রীজ কর্পোরেশন বিল উত্থাপন করেছিলেন।
‘‘তিনি অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনীতির কথাও বলেছিলেন। আজ আমরা বিশ্বায়নের যুগে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে জাতির জনকের সেই আদর্শকেই হৃদয়ে ধারণ করার চেষ্টা করছি। সরকার প্রথমবারের মতো ২০২০ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু শিল্প পূরষ্কার দেয়ার যে ঘোষণা দিয়েছে, তাকে সাধুবাদ জানাই।’’
তিনি বলেন, ২০২০ সাল বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী, ২০২১ সাল বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৫ বছরে পদাপর্ণ করবেন ২০২২ সালে। এই পরপর ৩টি বছর আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ড. রুবানা হক পোশাক শিল্পের পক্ষ থেকে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে পোশাকের লেবেলের সাথে বঙ্গবন্ধু বিষয়ে একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ সংযুক্ত করার প্রস্তাবনা দিয়ে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রতিটি ক্রেতার সাথে কথা বলতে একান্তভাবে আগ্রহী।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পায়ে হেঁটে, নৌকায় চড়ে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে গিয়েছেন। জনগণের দুঃখ-কষ্টের কথা শুনে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করতে যেয়ে অনেক মামলা হয়রানীর শিকার হয়েছেন, জীবনের অধিকাংশ সময়ে জেল খেটেছেন। কিন্তু আপোষ করেননি। ক্ষমতা ছেড়েছেন কিন্তু ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেননি।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি (অর্থ) এম এ রহিম (ফিরোজ) বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন বলেই আজ এদেশে এতো উদ্যোক্তার জন্ম হয়েছে। তিনি বেশিরভাগ সময়ে জেলে থাকার জন্য নিজের সন্তানদের বেড়ে উঠাও দেখতে পারেননি। জাতির জনক স্বাধীনতার জন্য যে আত্মত্যাগ করেছেন, তা আর কখনই কেউ করতে পারেবে না।
বিজিএমইএর পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে। তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে এসেছে।
তিনি বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততোদিন জাতি বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করবে।
বিজিএমইএর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মতো বিজিএমইএ পক্ষ থেকে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য বিজিএমইএ সভাপতিকে ধন্যবাদ জানান।