হাসান ঝন্টু, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি: বরগুনায় কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে আলু। এতে উৎপাদন খরচের অর্ধেকও তোলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষক। পাইকাররা বলছেন, এ অবস্থায় কৃষকের কাছ থেকে আলু কিনলে লোকসানের কবলে পড়বেন তারা। অন্যদিকে আলু বিক্রি করতে না পারায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন।
এবার সবচেয়ে বেশি আলুর ফলন পাওয়া গেছে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নে। প্রতি বছর এ অঞ্চলে আলু আবাদ করে লাভ বেশি হওয়ায় এবার ব্যাংক ঋণ নিয়ে আরো বেশি জমিতে কৃষক আলু চাষ করেছেন কৃষক। ফলনও পাওয়া গেছে ভালো। কিন্তু গত মাসে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে নষ্ট হয়ে গেছে অধিকাংশ আলু।
বরগুনার পাথরঘাটার কৃষকরা জানান, অালু পচে যাচ্ছে। আলু রোদে দিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। ব্যাংক থেকে আলু বিক্রি করে দিতে বলা হচ্ছে। কিন্তু আমরা কার কাছে বেঁচবো প্রশ্ন করেন তারা। যারা প্রতিবছর আলু তোলার সময় দিনমজুর হিসেবে কাজ করে তারাও পড়েছেন ভোগান্তিতে।
পাইকাররা বলছেন, কৃষকের কাছ থেকে ভেজা আলু কিনলে বেশিদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে না। লোকসানের কথা চিন্তা করে তারা আলু না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পানিতে ভেজা আলু দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে হলে হিমাগারের বিকল্প নেই।
বরগুনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সাইনুর আজম খান বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষকে বলেছি যে আলু সংরক্ষণের জন্য সাময়িকভাবে হলেও একটি সংরক্ষণাগার দরকার। আমাদের এখানে হিমাগারের অভাব রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বছর জেলায় প্রায় ১ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: