বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে শেষ পর্যন্ত বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে একমত হয়েছে উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো। এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্যারিস সম্মেলনে। শনিবার এডিপির মেয়াদ শেষে নতুন আইনী কাঠামোর খসড়া জলবায়ু সম্মেলন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেয়া হবে।
উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জাতিসংঘের ওপর যে রোড ম্যাপ দিয়েছে তাতে ৩০ সাল পর্যন্ত বৈশিক তাপমাত্রা বাড়ার হার ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে। তবে বাংলাদেশসহ বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলি তার দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখার দাবি জানিয়ে আসছে। শেষ পর্যন্ত এবারের জলবায়ু সম্মেলনে মাঝামাঝিতে রাখার বিষয়ে সব দেশের প্রতিনিধিরা।
পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, প্যারিসে যে নতুন সিদ্ধান্ত হবে সেই সিদ্ধান্তগুলো চূড়ান্ত করা হয়। আমি যেটা লক্ষ্য করছি প্রতিটা দেশ ২ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নামিয়ে আনার কথা বলছে। যে বিষয়টা গত বছর বলা হয় নাই।
তিনি আরো বলেন, এবারের বিষয়টা দেখে মনে হচ্ছে, সারা বিশ্ব বুঝে গেছে ২ ডিগ্রির নিচে দেড় ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা আনতে হবে।
সম্মেলনে বাংলাদেশ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে খাপ খাইয়ে নেওয়ার কর্মসূচি এবং অর্থায়নকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
সাবেক পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাসান মাহামুদ বলেন, আমাদের জন্য গ্রীন ক্লাইমেট ফাণ্ড থেকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা থাকবে। যেখানে পরিবেশ উদ্বাস্তু এই বাস্তবতাটাকে স্বীকার করে নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ কাজ করে চলছে।
তিনি আরো বলেন, অন্যান্য বারের অভিজ্ঞাতার আলোকে বলছি, এখনো আশা-নিরাশার দোলাচলে আছি।
৫ ডিসেম্বর এডিবির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এজন্য নতুন আইনী কাঠামোর প্রয়োজনে খসড়া দলিল তৈরি করে তা কপ চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত প্রস্ততি চলছে।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউণ্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, প্যারিসের এই জলবায়ু সম্মেলনে নানা ধরণের কথাই উঠে এসেছে। এ কথাগুলোকে একটি টেক্সের আলোকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর অনেক কিছুই এখনো ব্রাকেটের মধ্যে আছে।
তিনি আরো বলেন, এখনো আমরা অনেক কিছুতেই অনিশ্চিত। ফাইনালি আমারা পৌঁছাতে পারবো কিনা কয়েক দিন পর তা বোঝা যাবে।
এবারের সম্মেলনে জলবায়ু ন্যায্যতা ও ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর বিষয়ে আরো বেশী সক্রিয় হয়ে উঠছে সিভিল সোসাইটি ও বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা।