ফ্রান্সের প্যারিসে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে ঝুঁকি মোকাবেলা ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে ৬৯ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। এ সহায়তার অর্থ ২০৩০ সাল পর্যন্ত কাজে লাগানো হবে। পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, ঋণ নয় অনুদান হিসেবে এটি চাওয়া হয়েছে।
বিশ্বের সব দেশের মতো বাংলাদেশেও জাতিসংঘের কাছে কার্বন নিঃসরণ কমানোর অঙ্গীকার করেছে। বিশ্বের জলবায়ু সম্মেলনে সেই অঙ্গীকারের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি জলবায়ুর ঝুঁকির হাত থেকে বাংলাদেশের মানুষের রক্ষা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যে বিশাল অংকের অর্থের প্রয়োজন সেই দাবিও উঠে এসেছে পরিবেশ সচিবের উপস্থাপনায়।
পরিবেশ সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন হ্রাস করবো। সেটার জন্য আমাদের যে ২৭ বিলিয়ন ডলার পাওয়া যায় তার জন্য আমাদের শতকরা ১৫ ভাগ কার্বন নির্গমন হ্রাস পাবে।
২০৩০ সাল পর্যন্ত শর্তহীনভাবে ৫ শতাংশ হারে কার্বন নিঃসরণ কমাতে চায় বাংলাদেশ। তবে ১৫ শতাংশ কমাবে যদি মোট ৬৯ বিলিয়ন অর্থ অনুদান হিসেবে পাওয়া যায়। পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, এই দুনিয়াটা দুইশ বছরের যাবৎ বসবাসের অনুপোযোগী করেছি আমরা। এ জন্য আমরা ভুগছি। আসুন আমরা বসে এই সমস্যাটা সমাধান করি।
তাপমাত্রা ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে অর্থ যোগানের সাথে আইনী কাঠামোর অগ্রগতির আশা প্যারিস সম্মেলনের।