সম্প্রতি বাংলাদেশে জরাক্রান্ত যাদের ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের ৬৬ শতাংশেরও বেশি মানুষের ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। আরো ভয়ের দিক হচ্ছে, যাদের ডেঙ্গু ধরা পড়েনি তারাও যে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিলেন না এমন নয় বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এজন্য জ্বরের প্রথম তিনদিনের মধ্যে এনএস-ওয়ান পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বলেছেন, পরীক্ষায় নেগেটিভ এলেও উপসর্গ দেখা গেলে ডেঙ্গুর চিকিৎসাই করতে হবে।
ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তির হার মঙ্গলবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টায় ৫ শতাংশ কমেছে। বুধবার দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার কমেছে ৩ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার হার ৮৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮৯ শতাংশ হয়েছে।
দেশের সবচেয়ে বড় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৭ থেকে একুশে আগস্ট পর্যন্ত ১০ হাজার এক শ’ ৫০ জন এনএস-ওয়ান পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে এক হাজার ৫০ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষ্ঠু চিকিৎসা নিশ্চিত করা ও নিরাপদ থাকার স্বার্থে জ্বরের তিন দিনের মধ্যে এনএস-ওয়ান পরীক্ষা করা উচিত। এই পরীক্ষায় নেগেটিভ এলেও ৫ থেকে দেড় মাসের মধ্যে আইজিএম এবং পরে আইজিজি পরীক্ষা করে ডেঙ্গুর তথ্য জানা যায়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের তৃতীয় থেকে পঞ্চম দিনের মধ্যে জটিল উপসর্গ- তীব্র বমি এবং পাতলা পায়খানার প্রবণতা রোধ করে মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে: