শেষ ৩ ওভারে খেলাঘরের দরকার ছিল ৩২ রান। হাতে ২ উইকেট। ম্যাচটা রূপগঞ্জের দিকেই ঝুঁকে ছিল। কিন্তু ৪৮তম ওভারের প্রথম তিন বলে সৈয়দ রাসেলকে টানা তিন চার হাঁকিয়ে জমিয়ে তোলেন মাসুম খান। শেষপর্যন্ত অবশ্য পারেনি তার দল, রূপগঞ্জ ১২ রানে ম্যাচ ঝুলিতে ভরে মাঠ ছেড়েছে।
শুক্রবার ফতুল্লায় সুপার লিগ পর্বের ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২১৬ রান তোলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। জবাবে ৭ বল আর ১২ রান দূরে থেকে গুঁটিয়ে যায় খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি।
ম্যাচের ৪৮তম ওভারে তিন চার হজমের পর ষষ্ঠ বলে আব্দুল হালিমকে সাজঘরে পাঠান রাসেল। পরের ওভারের প্রথম চার বলে ছয় রান দেয়ার পর আসিফ হাসান ২১ বলে ২৭ করা মাসুমকে ফেরালে নিভে যায় খেলাঘরের শেষ আশাটুকু।
রূপগঞ্জের দুইশ পেরোনো সংগ্রহে বড় অবদান নাজমুল মিলনের। শেষের দিকে ঝড় তুলে ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন, ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৬৬ বলের ইনিংস সাজিয়ে। বাকিদের মধ্যে অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ৩৩, মোশাররফ হোসেন ২৬ রান করেন।
খেলাঘরের হয়ে ৩৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা মোহাম্মদ সাদ্দাম। ৩টি উইকেট নিয়েছেন তানবীর ইসলাম।
জবাব দিতে নেমে ফর্মে থাকা রবিউল ইসলাম রবি (৭) দ্রুত ফিরে গেলেও আরেক ওপেনার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন একপ্রান্ত আগলে রাখেন। ৫ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো তার ৭৭ রানের ইনিংসটি অবশ্য বৃথাই গেছে শেষদিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়।
মাঝে অধিনায়ক নাজিমুদ্দিন ৪৫ ও শেষে মাসুম খানের ওই লড়াকু ২৭ রান ম্যাচের আয়ু-উত্তেজনা বাড়িয়েছে।
জয়ে অবদান রূপগঞ্জের সব বোলারেরই। হাত ঘোরানো ছয় বোলারই উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে গেছে আসিফ, পারভেজ, মোশাররফ ও রাসেলের দখলে। একটি করে শহিদ ও নাঈমের ঝুলিতে।