শেষ হয়েছে দু’দিনের জমজমাট ঢাকা সেহরি নাইট। খাবার প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জানায় ঢাকাবাসীকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ দিতেই এ আয়োজনে অংশ নেয়া। আয়োজকরা বলছেন নগরবাসীর জন্য ব্যতিক্রমী দুই রাত উদযাপনের পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায় তারা।
রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে দু’দিনের ঢাকা সেহরি নাইট-এর শেষ রাতে ছিলো হাজারো মানুষের ভিড়।
হরেক রকম খাবারের স্বাদ নিতে সেহরি করতে আসেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। এমন সব খাবারের পসরাকে এক ছাদের নীচে নিয়ে এসেছে ঢাকা ফুডিজ।
ঢাকা ফুডিজের প্রতিষ্ঠাটা সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, দেশের বাইরে অনেকেই বলে থাকেন খাবার হচ্ছে তাদের সংস্কৃতির অংশ। তাই খাবারই সংস্কৃতি হয়ে গেছে এই উৎসবে। বেশ কয়েক বছর হলো সবাই মিলে বাসার বাইরে সেহরি করার একটা চল এসেছে। কারণ ইফতারের সময় ভীড় হওয়ায় অনেকেই এখন রাতে বের হচ্ছেন।
এমন আয়োজনে অংশ নিয়ে যারপরনাই খুশি অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
কেউ খাবে আর কেউ খাবে না, তা যেনো না হয় তাই সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের জন্য ঈদের আনন্দ একটুখানি বাড়াতে আয়োজনে অংশ নেয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও।
ওয়ান ডিগ্রী ইনিশিয়েটিভ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শাবহানাজ রশীদ দিয়া বলেন, সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য হান্ড্রেডস মাইলস নামের একটি সংগঠন আছে তাদের। সংগঠনটি পিছিয়ে পড়াদের নিয়ে কাজ করে। সংগঠনটি পিছিয়ে পড়া শিশুদের ঈদের আনন্দে তাদের প্রচেষ্টার অংশীদার হতে তরুণদের আহবান করতেই যোগ দিয়েছেন তারা।
প্রথমবারের এ আয়োজনের প্রশংসা করেন সেহরি খেতে আসা নগরবাসীরা।