প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় ৪১ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান মঞ্চ। পূর্ব ঘোষিত তারিখ অনুযায়ি রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬ দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। পুরস্কার প্রদান শেষে থাকছে চিত্রতারকাদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সেখানে পারফর্ম করবেন রিয়াজ-অপু বিশ্বাস, জায়েদ খান-সাহারা, আমিন খান-পপি, ইমন-তমা মির্জা ও সাইমন-সিমলা। তাদের নাচের কোরিওগ্রাফি করছেন মাসুম বাবুল এবং ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় দেখা যাবে ফেরদৌস ও পূর্ণিমাকে।
২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে এবারের আসরে সেরা ছবির জন্য নির্বাচিত হয়েছে নন্দিত নির্মাতা তৌকীর আহমেদের ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবিটি। এবারের চূড়ান্ত তালিকায় সর্বোচ্চ ৭টি বিভাগে পুরস্কার পেতে যাচ্ছে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ ছবিটি। এরপর নাদের চৌধুরীর ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ৪টি, তৌকীর আহমেদের ‘অজ্ঞাতনামা’ ও গৌতম ঘোষের ‘শঙ্খচিল’ পেয়েছে ৩টি করে পুরস্কার।
একনজরে দেখে নিন যারা পাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬
আজীবন সম্মাননা: যৌথভাবে পাচ্ছেন চলচ্চিত্রের দুই কিংবদন্তি ববিতা ও ফারুক।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র: অজ্ঞাতনামা। শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: ঘ্রাণ। শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: জন্মসাথী।
শ্রেষ্ঠ পরিচালক : অমিতাভ রেজা চৌধুরী, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্র : চঞ্চল চৌধুরী, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (প্রধান চরিত্র): যৌথভাবে তিশা(অস্তিত্ব) ও কুসুম শিকদার(শঙ্খচিল)।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-চরিত্রাভিনেতা: যৌথভাবে আলীরাজ(পুড়ে যায় মন) ও ফজলুর রহমান বাবু(মেয়েটি এখন কোথায় যাবে)।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রাভিনেত্রী: তানিয়া আহমেদ, কৃষ্ণপক্ষ।
শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতা: শহীদুজ্জামান সেলিম, অজ্ঞাতনামা।
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী: আনুম রহমান খান সাঁঝবাতি, শঙ্খচিল।
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : ইমন সাহা, মেয়েটি এখন কোথায় যাবে।
শ্রেষ্ঠ গায়ক : ওয়াকিল আহমেদ, ছবি- দর্পণ বিসর্জন, গান- অমৃত মেঘের বারি।
শ্রেষ্ঠ গায়িকা : মেহের আফরোজ শাওন, ছবি- কৃষ্ণপক্ষ, গান- যদি মন কাঁদে।
শ্রেষ্ঠ গীতিকার : গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ছবি- মেয়েটি এখন কোথায় যাবে, গান- বিধিরে ও বিধি।
শ্রেষ্ঠ সুরকার : ইমন সাহা, গান- বিধিরে ও বিধি।
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার : তৌকীর আহমেদ, অজ্ঞাতনামা।
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : রুবাইয়াত হোসেন, আন্ডার কনস্ট্রাকশন।
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : ইকবাল আহসানুল কবির, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক : উত্তম গুহ, শঙ্খচিল।
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : রাশেদ জামান, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : রিপন নাথ, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা : যৌথভাবে সাত্তার, নিয়তি ও ফারজানা সান, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ মেকাপম্যান : মানিক, আন্ডার কনস্ট্রাকশন।