শত শত মানুষের অংশ গ্রহণে সম্পন্ন হয়েছে সদ্য প্রয়াত কবি আল মাহমুদের নামাজে জানাজা। শনিবার দুপুরে প্রথমে প্রেসক্লাব ও পরবর্তীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে কবির দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। এদিকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কবির দাফন কোথায় হবে এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি তার পরিবার।
শনিবার কবি আল মাহমুদের জানাজা শেষে গণমাধ্যমকে তার পরিবার ও কবি আল মাহমুদের সহকারি কবি আবিদ আজম জানিয়েছেন, আগামি কাল (রবিবার) বাদ জোহর আল মাহমুদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তার গ্রামের বাড়িতে আরেক দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর গুরুতর অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আল মাহমুদকে। প্রথমে সিসিইউ ও পরে আইসিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি আল মাহমুদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল গ্রামের মোল্লাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পাঠকপ্রিয়তা পাওয়া ‘সোনালী কাবিন’ ছাড়াও কবি আল মাহমুদের রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ লোক লোকান্তর, কালের কলস, বখতিয়ারের ঘোড়া, একচক্ষু হরিণ, দোয়েল ও দয়িতা, নদীর ভিতরে নদী, বারুদগন্ধি মানুষের দেশ, সেলাই করা মুখ, তোমার রক্তে তোমার গন্ধ ইত্যাদি।
ছবি: রাজীন চৌধুরী