“রাশেদ খান মেনন, এরশাদের কয়টা জনগণ আছে? তারা যদি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি পায় জনগণের প্রিয় দল বিএনপি কেন পাবে না? অনেক দল তো কিছু টোকাই টোকাটুকি করে এনে সমাবেশের অনুমতি পায়! শুধু বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিতে সমস্যা কেন? অনুমতি দিন। আগামীকাল জনসভা করবো”।
এভাবেই সোমবার জনসভা করার অনুমতির দাবি জানালেন বিএনপির মুখপাত্র এবং দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গতকাল খুলনায় জনসভা করেছে বিএনপি। সেখানে তো কোন নাশকতা হয়নি। তাহলে এখানে কিসের ভয়? আসলে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলকে সমাবেশের সুযোগ দিতে চায় না। জনসমাগমকে তারা ভয় পায়, বিএনপিকে ভয় পায়।
রোববার বিকালে নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, আমরা অনেকদিন আগে থেকে ১২ মার্চ জনসভার অনুমতি চেয়েছি। কিন্তু আজ ৪টা পর্যন্ত কোন কিছু জানায়নি পুলিশ। রাত ৮/৯টায় অনুমতি দিলেও আমরা জনসভা করতে পারবো। বিএনপি জনসভার প্রস্তুতি নিয়েছে।
রিজভী এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বলেন, ওবায়দুল কাদেরের গণতন্ত্র হলো নির্যাতন আর বিভৎসতার গণতন্ত্র। দেশে আওয়ামী লীগের গণতন্ত্রের সংকট নেই। কিন্তু প্রকৃত গণতন্ত্রের সংকট আছে। আওয়ামী গণতন্ত্র থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। শেখ হাসিনার শাসন অন্ধকার শাসন। এ শাসন থেকে মুক্তি পেতে চায় জনগণ।
রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশের সাথে সমঝোতা করছে। তার এ বক্তব্য স্ববিরোধী। একথা বলার পরই আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা পার্শ্ববর্তী দেশে যাচ্ছেন মন জয় করতে। আওয়ামী লীগ আবারও বিদেশের মন জয় করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু সে আশা পূরণ হবে না।