গ্রাম পর্যায়ে ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের সেবাগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিকল্প থাকলেও গ্রাম পর্যায়ে ই-সেবার জন্য সাধারণ মানুষের প্রথম পছন্দ ইউনিয়ন পরিষদ। তবে ইন্টারনেটের গতির কারণে অনেক সময় ব্যাহত হচ্ছে ই-সেবা কার্যক্রম।
৫৩ হাজার মানুষের বাস সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নে। এক সময় এই ইউনিয়ন ছিল শুধু ঝগড়া বিবাদ মীমাংসার স্থান। সময় বদলেছে। ইউনিয়ন পরিষদ এখন সাধারণ মানুষের সেবা পাওয়ার জায়গা। গড়ে দিনে ২ হাজার মানুষ এখানকার ডিজিটাল সেবা নিয়ে থাকেন।
ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের একজন উদ্যেক্তারা জানালেন, আমরা কৃষিভিত্তিক যতটুকু সেবা দিতে পারি, বা তথ্যগুলো অন্য কোনো মাধ্যম থেকে নিয়ে আসতে পারি। আমরা সেবা শুধু এই কেন্দ্রকেন্দ্রিক না। এই সেবাগুলো মানুষ বাইরে থেকেও পাচ্ছে।
কয়েক বছর আগেও জন্ম নিবন্ধন, জমির খতিয়ান, আইডি কার্ড, বিদ্যুত বিল, পাসপোর্ট ফরম, কৃষি তথ্য পেতে গ্রাম থেকে উপজেলা বা জেলা সদরে আসতে হতো। সাধারণ মানুষ বলছেন, সেসময় একটি কাজের জন্য সারা দিন পার হতো তাদের।
এলাকাবাসী জানালেন, আগে এসব কাজের জন্য ধামরাই সদরে বা কালামপুরে যেতে হতো। অনেক খরচ হয়ে যেত। এখন এখানে অনায়াসে সেসব করা যায়।
ডিজিটাল সেবাগুলো বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা পূরণ করছে। গ্রামের বয়স্ক মানুষই ডিজিটাল সেবা কেন্দ্রে বেশি আসেন যারা বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা, বিদ্যুৎ বিল ও জমির খতিয়ান সংক্রান্ত সেবা নিয়ে থাকেন। আবার তরুণরা আসেন পাসপোর্ট ফরম, জন্ম নিবন্ধনের কাজে।
সারাদেশে এখন ইউনিয়ন পর্যায়ে এরকম ডিজিটাল তথ্যসেবা কেন্দ্র আছে ৫ হাজার একটি।