৩০ জানুয়ারি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা। ওইদিন আবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। সরস্বতী পূজার দিনে ভোট গ্রহণ নিয়ে যে বিতর্কের জন্ম হয়েছে তার সমাধান করতে পারত নির্বাচন কমিশন, কিন্তু তারা সেটা নিয়ে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের পূজার দিনের ভোটগ্রহণের আয়োজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের ক্ষুব্ধ করেছে, তাদের এই সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ করেছে প্রগতিশীল মানুষদেরও। সকলেই পূজা দিনে ভোটগ্রহণ না করে তারিখ পেছানোর দাবি জানাচ্ছেন।
সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল ওই মানুষদের দাবির সঙ্গে একাত্ম হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থীদের অনেকেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে অন্তত তিনজন প্রার্থী সরাসরি নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছেন। এদের মধ্যে আছেন ঢাকা উত্তরের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল এবং ঢাকা দক্ষিণের বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন। এর বাইরে ঢাকা দক্ষিণের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস পূজার দিনে ভোটগ্রহণে মর্মাহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন।
প্রার্থীদের এই মন্তব্যের বাইরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের দাবিও নির্বাচন পেছানোর। আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকার দুই সিটির ভোটগ্রহণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রথম দিকে হাই কোর্টের রায়ের আলোকে সবাইকে পূজার দিনে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার আহ্বান জানালেও ১৭ জানুয়ারি অনেকটা সুর বদল করে বলেছেন, সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করলে আওয়ামী লীগ বা সরকারের আপত্তি নেই। তারিখ পরিবর্তনের এখতিয়ার সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর মুলতবি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে হালনাগাদ বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের।
পূজার দিনে নির্বাচন কমিশনের এই ভোটগ্রহণের আয়োজনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে জাতীয় হিন্দু মহাজোট। ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে তারা বলছে, ভোট অন্য কোনও দিন হলে তারা অংশ নেবে। ১৭ জানুয়ারি রাজধানীতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় সংগঠনটি। এদিকে, পূজার দিনে ভোটগ্রহণে ইসির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই শাহবাগ আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) পূজার দিনের ভোটের আয়োজনের প্রতিবাদ করে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়ে ইসির ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের দাবিও একই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান ভোটের তারিখ পেছাতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শাহবাগ মোড় অবরোধ, সমাবেশও হয়েছে, শিক্ষার্থীদের অনেকেই আমরণ অনশনে বসেছেন। তবে এখন পর্যন্ত ইসি তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। ইসির দাবি- একই দিনে ভোট ও পূজা অনুষ্ঠানে কোনো সমস্যা হবে না। দুটোই উৎসব। আলাদা আলাদাভাবে তা অনুষ্ঠিত হবে। ইসির তথ্যমতে রাজধানীর ৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভোট ও পূজা দুটোই হবে। এটাকে তারা এখন পর্যন্ত সমস্যা হিসেবে মানতে রাজি নয়। অথচ ইসি এটা অনুধাবন করছে না পূজাকেন্দ্রে কেবল অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় এই উৎসব। পূজাকেন্দ্র আর ভোটকেন্দ্র এই হিসাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ইসি, কিন্তু এটা যখন পুরো সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের একটা ধর্মীয় উৎসব তখন এর সঙ্গে আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে ধর্মভুক্ত মানুষদের সে বিষয়টিও তাদের বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল।
একটা ধর্মীয় উৎসব পালনকে নির্বাচন কমিশন যখন সংখ্যার হিসাবে ভোটকেন্দ্র আর পূজাকেন্দ্রের হিসাব দিয়ে মেলাতে ব্যস্ত তখন এর মধ্যে বিশেষ ওই ধর্মের মানুষের প্রতি একধরনের অবজ্ঞা কাজ করে। এটা তারা না বুঝলে প্রকৃত চিত্র কিন্তু সেটাই। ইসির কাছে কেন্দ্রই মুখ্য, অথচ এই কেন্দ্রগুলোসহ অন্যান্য কেন্দ্রে সকল ধর্ম ও শ্রেণিপেশার মানুষের উপস্থিতির পরিবেশ তৈরি করার চিন্তা করারও দরকার ছিল। ধরে নিলাম- ৫৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ভোটকেন্দ্রে ইসি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করল কিন্তু এই কেন্দ্রগুলোসহ বাকি কেন্দ্রগুলোতে ওই ধর্মের মানুষজনের আসার বিষয়টিও তাদের বিবেচনার মধ্যে রাখা উচিত ছিল। এখানে কেন্দ্রের নিরাপত্তাই মুখ্য নয়, এরসঙ্গে যুক্ত থাকে মানুষের অংশগ্রহণের বিষয়টিও। এটা ইসির দায়িত্বের পর্যায়ভুক্ত, কিন্তু তারা কি সেই দায়িত্ব পালনে আগ্রহী? প্রশ্ন থেকে যায়!
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের দায়িত্বে যেমন ইসি, তেমনি এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার সার্বিক দায়িত্ব পালনও করতে হয় তাদের। নির্বাচনে যদি ভোটাররা অনাগ্রহ দেখায় তখন সেই নির্বাচন কাগজেকলমে সিদ্ধ হলেও নির্বাচনের প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ হয়না। মানুষের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়া নির্বাচন বর্জনের নামান্তর। কত শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে গেছে সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ইসি এই বিষয়কে গুরুত্ব দিতে চাইছে না বলেই মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে- এই অভিযোগ দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। এর কারণ মূলত ইসির দায়িত্বহীনতা, পক্ষপাতিত্ব, নির্বাচনকে সফল করতে না পারা। ভোটের দিনে খা খা করে ভোটকেন্দ্র, নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোটারদের অপেক্ষায় বসে থাকেন- এই চিত্র সাম্প্রতিক সময়ে প্রকট হয়ে ওঠেছে। ভোট দিতে মানুষের এই অনীহার বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তু না হলেও এটা গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ কেন ভোট নিয়ে আগ্রহ হারাচ্ছে- এনিয়ে আলোচনার দরকার; দরকার এর প্রতিবিধানের। এই কাজ যে প্রতিষ্ঠান করার কথা তারা এনিয়ে ভাবছে বলে মনে হয়না। এছাড়া মানুষের সাধারণ ভাবনা হচ্ছে ভোট দিয়ে কী হবে? এই ভাবনা ভয়ঙ্কর, এবং একই সঙ্গে ইসির প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসহীনতার উদাহরণ।
নির্বাচন কমিশন বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে ক্রমশ। একের পর এক ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরেও ইসি যখন এই দুঃসহ অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না তখন বলা যায় এই ইসির মাধ্যমেই আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হতে যাচ্ছে। রংপুরে দুর্গাপূজার সময়ে ভোটের আয়োজন করে ইসি আগে যে দায়িত্বশীল ভূমিকাকে অবজ্ঞা করে গেছে তার ধারাবাহিকতায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে পূজার দিনে ভোটের আয়োজন করেছে। এতে বিশ্বাসযোগ্যতা সঙ্কট আরও তীব্র হচ্ছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পেশাজীবী, ধর্মীয় সংগঠন, প্রার্থী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পূজার দিনে ভোটের আয়োজন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ও ভোটের তারিখ পেছানোর যে দাবি ওঠেছে একে অগ্রাহ্য করা উচিত হবে না। একে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত ইসির। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইসি এনিয়ে আগ্রহী না, এখনও তারা পূর্বের অবস্থানের অনড় থেকে এত এত মানুষের দাবিকে অগ্রাহ্য করেই চলেছে। একটা ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে ইসি নির্বাচনের তারিখ পেছালে তারা যে বড়ধরনের কোন ক্ষতির মুখে পড়বে এমন না। নির্বাচনের তারিখ বদলের ক্ষমতা তাদের নেই- এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। রাষ্ট্র তাদের সে ক্ষমতা দিয়েছে, কিন্তু রাষ্ট্রের দেওয়া এই ক্ষমতা কেন তারা ব্যবহার করছে না এটা বিস্ময়কর। এখানে ইসি কি সরকারে গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় রয়েছে? ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা কি সরকারের মুখাপেক্ষী? প্রশ্নগুলো বড় হয়ে ওঠেছে!
নির্বাচন একটা সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম এক উৎসব ছিল, কিন্তু বর্তমানে সে অবস্থা নেই। নির্বাচন এখন আর উৎসব নয়, এটা এখন একধরনের আনুষ্ঠানিকতা। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হতে পারে এটা বিশ্বাস করার লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। খোদ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থক পর্যায়েও এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে। নির্বাচনের আগে নির্বাচন- এই আলোচনার পালে দিন দিন হাওয়া লাগছে।
পূজার দিনে ভোটের এই আয়োজনে যারা বিরোধিতা করছেন তারা সকলেই সনাতন ধর্মাবলম্বী এমন না, সকল ধর্মের ও নিধার্মিক মানবিক বোধ সম্পন্ন মানুষেরা এই আয়োজনের বিরোধিতা করে আসছে। তারিখ পেছালে নির্বাচন কমিশন পরাজিত হয়ে যাবে এটা ভাবারও কারণ নাই। মানুষের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে পূজার দিনের নির্বাচনকে অন্য কোন দিন নির্ধারণ করলে বরং প্রশংসিত হবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যতই হাই কোর্টের রায়ের দোহাই দিক না কেন, মানুষ হাই কোর্ট নয় এজন্যে ইসিকেই দোষারোপ করছে। এই দোষারোপের কারণ প্রথমত পূজার দিনে ভোটের তারিখ নির্ধারণ, এবং পরে তাদের কৃত এই ভুলকে টিকিয়ে রাখতে অগ্রহণযোগ্য তরিকার সাফাই। এটা তাদেরকে আরও বেশি বিতর্কিত করছে।
নাগরিকের ধর্ম পালন বিষয়ক সংবিধান প্রদত্ত নাগরিক অধিকার যদি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক কোন প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত না করে তবে মানুষের যাওয়ার জায়গা থাকে না। মোট কেন্দ্রগুলোর কত সংখ্যক কেন্দ্র পূজা ও ভোটের জন্যে ব্যবহৃত হবে এটা হিসাবের বিষয় নয়, বিবেচনায় নিতে হবে মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা খর্ব কিংবা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কি না। পূজার দিনে ভোটের আয়োজন নাগরিক অধিকার ভোগকে বাধাগ্রস্ত করে। এটা সংখ্যার হিসাবে কম থাকা একটা ধর্মের মানুষদের অবহেলা করার ইঙ্গিতও। নির্বাচন কমিশনকে এ থেকে বেরুতে হবে। তা না হলে আমরা পরাজিত হতে থাকব। পরাজয় আমাদের আকাঙ্ক্ষার নয়, এটা আকাঙ্ক্ষার কিছু হতে পারে না!
ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন, ভোট দেবে ভোটার; সেই ভোটারের একটা অংশ যখন সংবিধান প্রদত্ত ধর্ম পালনের অধিকারের দাবি জানায় তখন রাষ্ট্রকে সেই দাবির গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে। এখানে সংখ্যায় কম-বেশির হিসাব ধর্তব্যের নয়। এই দাবির পক্ষে প্রগতিশীল মানুষেরা আছে, আছেন রাজনৈতিক নেতারা, নির্বাচনের প্রার্থীরাও। একই ধরনের দাবি করেছে ইসলামধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল চরমোনাই পিরের ইসলামী আন্দোলনের ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। তারাও ইসির বর্তমান অবস্থানকে দায়িত্বহীন উল্লেখ করে বলছে, ‘আমরা হাজার বছর ধরে বাঙালি জাতি হিন্দু-মুসলিমসহ অন্যান্য সব গোত্র-বর্ণের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে একত্রে বসবাস করে আসছি। আমরা পরস্পর পরস্পরের ধর্মীয় আবেগ ও মূল্যবোধকে সম্মান করি।’ এই ধর্মীয় সংগঠনটিও নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
এত দাবির বিপরীতে নির্বাচন কমিশনের ‘ভোটও পবিত্র পূজাও পবিত্র’ বুলি আওড়ানো উচিত হবে না। তাদের উচিত হবে সম্প্রীতি ও শ্রদ্ধাবোধের বিষয়টিকে অনুশীলনের পর্যায়ে নিয়ে এসে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা। এই পরিবর্তনে তাদের সম্মানহানি হবে না, তারা পরাজিত হবে না; বরং জনগণের ভাষা বুঝে জনগণের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তারা নিজেরাও সম্মানিত হবেন।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)