বেশ কিছুদিন ধরেই দেশে নির্বাচনী আগাম হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সেই হাওয়ায় বেগ এসেছে একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের খসড়া রোডম্যাপ ঘোষণার মাধ্যমে। শুধু সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, প্রয়োজনে আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতিও আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। মঙ্গলবার বিকেলে খসড়া রোডম্যাপ প্রকাশের পর সিইসি জানিয়েছেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সাতটি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে চায় কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলো সম্মতি না দিলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। আগামী জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে ইসি। সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসির প্রধান কাজ উল্লেখ করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণার আগে থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর জোট ঘোষণা, দল বদলের গুঞ্জন আর আগাম পরিকল্পনা প্রকাশের নানা আয়োজন দেখে দেশবাসী ভোটের রাজনীতির সুবাতাস উপভোগ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর আগাম ইঙ্গিতের পরে নির্বাচন কমিশনের খসড়া রোডম্যাপ জাতির জন্য অবশ্যই সুসংবাদ। তবে সেসঙ্গে আমরা আশা করছি, সবার অংশগ্রহণে ভোট ও জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হবে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ইতিবাচক ধারার যে উন্নয়ন, তা অব্যাহত থাকুক। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আগে পরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে সেরকম পরিস্থিতি ও উৎকন্ঠা-অপেক্ষা যেন আর করতে না হয়। সংবিধান অনুসারে নির্দিষ্ট সময়ে ভোটের মাধ্যমে দেশের জনগণ যাতে তাদের মত প্রকাশ করতে পারে, সেজন্য এই প্রক্রিয়া যেন কোনো কারণে বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে নজর দিতে হবে।