তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, তাকে অপমান করার অভিযোগে দায়ের করা সব মামলা তুলে নেবেন। সম্প্রতি ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের সময় তার পক্ষে জনগণের একাত্মতা দেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত হিসাব অনুসারে, তুরস্কের প্রায় ২ হাজার মানুষ এরদোগানকে অপমান করার মামলায় লড়ছে।
প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে দেয়া বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাকে যারা অসম্মানজনক অপমান করেছে, এ ব্যাপারে তাদের সবার বিরুদ্ধে চলমান মামলা আমি তুলে নেব।’ একে ভালো মানসিকতা প্রকাশের একটি ধরণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সময় তার নেয়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে তিরস্কার ও আক্রমণের সমালোচনা করে সবাইকে এরদোগান বলেন, ‘কেউ কেউ আমাদের উপদেশ দিচ্ছেন। তারা বলছেন তারা আমাদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। আমি তাদের বলব, নিজের চরকায় তেল দিন! নিজে কী করেছেন সেদিকে নজর দিন।’
‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা পশ্চিমের একজন মানুষও আমাদের সান্ত্বনা দিতে আসেনি। সেসব দেশ বা তাদের নেতারা, যারা তুরস্কের গণতন্ত্র, আমাদের জনগণ বা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত নন, তারা ওই বিদ্রোহীদের ভাগ্য নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছেন। এরা আমাদের বন্ধু হতে পারেন না,’ ক্ষোভ নিয়ে বলেন তিনি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান জেনারেল জোসেফ ভোটেল কয়েকজন সেনানায়কের কথা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, তাদেরকে জেলে রাখলে তা তুরস্ক ও আমেরিকার মধ্যকার সামরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এ বক্তব্যের চরম নিন্দা করে প্রেসিডেন্ট এরদোগান জেনারেল ভোটেল ‘অভ্যুত্থান পরিকল্পনাকারীদের পক্ষে’ বলে দাবি করেন।
প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের ওই অনুষ্ঠানে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম জানান, তুরস্ক সরকার সামরিক বাহিনী থেকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে জড়িত সব উপাদান মুছে ফেলতে সফল হয়েছে তুরস্ক সরকার।