পুলিশের কোন সদস্য জনমনে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনভাবেই জনগণের নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপপ্রয়াস বা অপচেষ্টা বরদাশত করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর আছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
সোমবার রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটা পুলিশি নিরাপত্তা চৌকিতে তল্লাশির নামে গভীর রাতে এক নারী যাত্রীকে হয়রানির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই ভিডিওটি যিনি আপলোড করেছে তিনি পুলিশেরই একজন সদস্য, তার ধারণা ছিল এই ভিডিওটি আপলোড করলে হয়তো তার সুনাম হবে। কিন্তু তিনি যে অপেশাদারসুলভ ব্যবহার করেছেন সেটা বোঝার ক্ষমতা তার নেই।
এ ঘটনা আমাদের নজরদারিতে আসার পর মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেনের তদারকিতে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তাদের ৪৮ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছে এবং দায় ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে। যারা এ ধরণের অপেশাদারসুলভ ব্যবহার করেছে, যারা ওই নারীর সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শুধু এই ঘটনাই নয় ভবিষ্যতে যদি কোন পুলিশের সদস্য পেশাদার আচরণের বাইরে খারাপ আচরণ বা নেতিবাচক আচরণ করে জনমনে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ ও গ্রহণযোগ্যতা কমায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থা অত্যন্ত কঠোর ও সুস্পষ্ট থাকবে।
পুলিশের আচরণ কেমন হবে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, পুলিশের আচরণের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত সচেতন। পুলিশ সদস্যদের ব্যাপারে আগে যেভাবে ব্যাপকহারে অভিযোগ আসত, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে চাই সেই পাঁচভাগ অভিযোগও এখন আসে না।
‘আমরা পুলিশ সদস্যদের শুধু ধারাবাহিকভাবে প্রশিক্ষণ দেই না, অপেশাদারসুলভ ব্যবহার করলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করি’- যোগ করেন ডিএমপি কমিশনার।
নির্বাচনকালীন সময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিস্থিতি বিঘ্ন ঘটবে কিনা জানতে চাইলে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আপনারা জানেন, আমরা যতোটুকু বলি তা বাস্তবায়ন করি। নির্বাচনের সময়ে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নে কোন উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
নগরীর পুলিশ কমিশনার হিসেবে বিনীতভাবে জানাতে চাই কেউ যদি জনগণের নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা বিঘ্নের কোন অপচেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে খুব কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাদের আইনের আওতায় নেয়া হবে।