দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ এবং নির্বাহী স্বদেশ রায়ের বিরুদ্ধে জারি করা আদালত অবমাননা রুলের শুনানি বৃহত্তর বেঞ্চে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সাথে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলা নিয়ে সর্বশেষ প্রকাশিত লেখা দাখিল করতে পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
এর আগে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে বেঞ্চ গঠনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। ‘পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে ১৬ জুলাই জনকণ্ঠ পত্রিকায় উপ-সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়। যার লেখক ছিলেন স্বদেশ রায়।
বিচার বিভাগ নিয়ে ওই সম্পাদকীয় প্রকাশের ব্যাখ্যা চেয়ে ২৯ জুলাই সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও পত্রিকার কলাম লেখক স্বদেশ রায়ের বিরুদ্ধে আদালত আবমাননার রুল জারি করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল। ওই দিন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায়ও ঘোষণা করা হয়।
রুল জারির পাশাপাশি অভিযুক্তদের ৩ আগস্ট স্বশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাজির হয়ে সময় প্রার্থনা করা হলে ৯ আগস্ট শুনানির দিন ঠিক করেন আপিল বিভাগ।
এদিন তাদের উপস্থিততে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয়।
জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের পক্ষে আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন বলেন, আমরা বলেছিলাম ঐ মামলাটিতে তাকে (প্রধান বিচারপতিকে) উনাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে দিয়ে একটি বেঞ্চ করার জন্য। কিন্তু প্রধান বিচারপতি শুনানি শেষে তা খারিজ করে দিয়েছেন। আমাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে, এই রুল জারি করার পরে যে নিউজগুলো করা হয়েছে, তা একত্রিত করে আদালতে দাখিল করতে।
আদালত অবমাননার রুলের শুনানিতে দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, প্রধান বিচারপতি আদালতে ঘোষণা করেছেন। আরও বৃহত্তর পরিধিতে বেঞ্চে গঠন করে বিষয়টা তারা (বিচারপতিরা) শুনবেন।
তিনি বলেন, আমার মতে জনকণ্ঠের পক্ষ থেকে আদালত অবমাননা তো করাই হয়েছে; আবার নতুনভাবে দরখাস্ত দিয়ে গুরুতর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
এটর্নি জেনারেল জানান, দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক ও পত্রিকার কলাম লেখকের বিরুদ্ধে জারি করা আদালত অবমাননার রুলের শুনানি সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।