এ বছর চীনের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৬.৫ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী লি কে জেং। গত বছর তা ছিল ৬.৫-৭ শতাংশ।
চীনা মুদ্রার বিনিময় হার এবং বাণিজ্যনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগের সরাসরি জবাব না দিলেও সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘সামনে অনেক পরিবর্তিত জটিল বিশ্ব পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।’
দেশটির রাবার স্ট্যাম্প পার্লামেন্ট হিসেবে খ্যাত ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে (এনপিসি) এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী চীনা। সেখানে তিন হাজারের বেশি আইনপ্রণেতা উপস্থিত ছিলেন।
লি কে জেং বলেন, অটোমেটেড কোম্পানীগুলো মার্কেটের প্রয়োজনের অতিরিক্ত কয়লা ও স্টিল উৎপাদন করছে, যা তারা নিয়ন্ত্রণ করবেন। অতীতে এ ধরনের অঙ্গিকার অনেকবার করা হলেও রক্ষা করা হয়নি।
এনপিসি এবং তার উপদেষ্টামন্ডলী প্রতিবছর ঐতিহ্যগতভাবে একটি বার্ষিক অধিবেশনের আয়োজন করে থাকে যা ‘লিয়ানঘুই’ বা ‘দ্বি-অধিবেশন’ হিসেবে পরিচিত।
চলতি বছর চীনা অর্থনীতি গত ২৬ বছরের মধ্যে সব থেকে ধীর গতিতে আগাচ্ছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি-চীনকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রেশম গুটি থেকে রূপান্তরিত হয়ে উড়তে যাওয়া একটি প্রজাপতির সাথে তুলনা করেন।
তিনি বলেন, অনেক কষ্টসাধ্য হওয়া সত্ত্বেও প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। সে জন্য তিনি কমিউনিস্ট পার্টির নেতা জি জিনপিংকে ধন্যবাদ জানান।
“জি জিনপিং ও তার দলের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে চীনারা সব ধরনের বাধাকে অতিক্রম করার সাহস ও মৌলিকত্ব পেয়েছে। কিছু সরকারি কর্মকর্তার অলসতার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু জটিলতার উৎপত্তি হয়েছে। যার সমাধানের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
অর্থনীতির এ ধীর গতি এনপিসি নেতারা মেনে নিয়েছেন, কারণ এতে করে দ্রুত নির্মাণের ঋণ পরিশোধ করা যাবে। পাশাপাশি কিছু বেদনাদায়ক পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলা যাবে।