নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ জঙ্গিনেতা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি আব্দুল হান্নান ও জঙ্গি শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার ও আশপাশের এলাকাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে।
কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেছে দু’টি অ্যাম্বুলেন্স। আসতে শুরু করেছেন কারা অধিদফতর ও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।
সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার দায়ে ফাঁসি কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা মুফতি হান্নান ও বিপুলকে রাখা হয়েছে এ কারাগারের কনডেম সেলে।
বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কারাগারের ভেতরে ঢোকানো হয় সাদা রঙের দু’টি অ্যাম্বুলেন্স।
কারাগারের মূল গেটে বেশ কয়েকজন এপিবিএন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। মূল গেট থেকে শুরু করে ৫০০ গজ এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, এপিবিএন সদস্য ছাড়াও কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। তিনটি প্রতিরোধক (ব্লক) স্থাপন করে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হচ্ছে।
ফাঁসির প্রস্তুতি দেখতে ইতোমধ্যেই কারাগারে পৌঁছেছেন ঢাকা জেলার কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) তৌহিদুল ইসলাম।
এর আগে মুফতি হান্নানের সঙ্গে দেখা করেন তার স্বজনরা। বুধবার সকালে কাশিমপুর কারাগারে তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও বড় ভাই দেখা করেন। সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ৪০ মিনিট সময় ধরে তারা মুফতি হান্নানের সঙ্গে কথা বলেন।
আগের দিন মঙ্গলবার মুফতি হান্নানের সঙ্গে দেখা করতে তার স্বজনদের চিঠি দেয় কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। ওইদিন দুপুরেই তার প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচের কপি পৌঁছায় কারাগারে।
ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ায় অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনাই ছিল এই তিন জঙ্গির আইন অনুযায়ী বাঁচার শেষ সুযোগ।
গত ২৭ মার্চ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন তারা। এরই মধ্যে ওই আবেদন নাকচ করেছেন রাষ্ট্রপতি।