আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম ও এবিটি সদস্য আরিফুল ইসলাম সোলায়মানি আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গি সংগঠনগুলোর অর্থায়নে কয়েকটি বাংলাদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম জানিয়েছে।
ডিএমপির মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তদন্তে এদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে সাথে সাথেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটকের পর আনছারউল্লাহ বাংলা টিমের ওই দুই সদস্য জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গি সংগঠনগুলোর অর্থায়নে কয়েকটি বাংলাদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম জানিয়েছে। তাদেরকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে ডিবি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, সরাসরি কোনো হত্যাকাণ্ডে যোগদান করেছে এমন তথ্য না দিলেও তারা ফুলটাইম বেতন ভাতা পায়। সে হিসেবে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয়। তারা সেটা যোগাড় করে আসছে। কিছু কিছু ব্যবসায়ী অর্থ দান করে থাকে। তারা সার্বক্ষণিকভাবে দলের সাথে নেই। কিন্তু পরোক্ষভাবে আছে। তাদের জীবনযাপনে যতটা টাকা দরকার সেটা রেখে বাকিটা এই সংগঠনে দান করে।
আটক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর প্রসঙ্গ আসলে ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, আমরা দেখছি যে এদের উদ্দেশ্য এবং আসলাম চৌধুরীর মতো মানুষদের উদ্দেশ্যে অনেকটাই মিল রয়েছে। তারা যেমন মোসাদের সঙ্গে মিটিং করে এবং ভারতকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছিলো যে এদেশে সংখ্যালঘুদের হত্যা করা হচ্ছে। এরা সরাসরি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এই দুই পক্ষের চাওয়ার মধ্যে অনেকটাই মিল রয়েছে।
তিনি আরো জানান, নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি এবং আনসারউল্লাহ বাংলা টিমকে অর্থায়নের সন্দেহে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে আনছারউল্লাহ বাংলা টিমের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য (দক্ষিণ) বিভাগ। আটকের সময় তাদের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই, চাপাতি ও জঙ্গি কার্যক্রম সংক্রান্ত লিফলেট উদ্ধার করে ডিবি।
জঙ্গী বিরোধী অভিযানে ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে ২৬ জন। এরা সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি, এবিটি , হূজি ও আল্লার দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। ময়মনসিংহে মুক্তাগাছা এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জেএমবি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইয়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড মাওলানা গরিবুল্লাহ।