জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোববারও উত্তাল কাশ্মীর। তার মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তর কাশ্মীর থেকে দক্ষিণ কাশ্মীর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ বিক্ষোভকারী।
বিক্ষোভকারীরা পুলিশের একটি গাড়িকে পার্শ্ববর্তী ঝিলম নদীতে ঠেলে ফেলে দিলে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। এ সহিংসতায় কমপক্ষে ১৪৪ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৯২ জনই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কাশ্মীরের কোকরনাগ এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বুরহানি নিহত হন। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল কাশ্মীরে গতকালই স্থগিত হয়েছিল অমরনাথ যাত্রা। আজও তা চালু করা যায়নি। আটকে পড়া সব যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যত দ্রুত সম্ভব যাত্রা ফের চালু করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। তবে এই আশ্বাসেও অবশ্য ঘোর অনিশ্চয়তায় রয়েছেন অমরনাথ যাত্রীরা।
এ পরিস্থিতিতে কাশ্মীর উপত্যকায় আগামীকালের সকল পাবলিক পরীক্ষা স্থগিত ঘোযণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, ‘মৃত বুরহান ওয়ানি জীবিত বুরহান ওয়ানির চেয়ে অনেক বেশি মারাত্মক।’
খুব কম বয়সেই উপত্যকার অন্যতম ভয়ঙ্কর জঙ্গি হয়ে উঠেছিল ওয়ানি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয় তরুণ জঙ্গির ডাকে সাড়া দিয়ে বহু কাশ্মীরি তরুণ জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছিল।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছেও সে অন্যতম টার্গেট হয়ে উঠেছিল। সেনাবাহিনীর মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায় ছিল ওয়ানি। ওয়ানির জন্য ১০ লাখ রুপি আর্থিক পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল সরকার।