পাকিস্তান সরকার দেশজুড়ে চরমপন্থি-জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর দমনমূলক অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয়ার পরও জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) নিজেদের বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়িয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
এনডিটিভি জানায়, পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ ঘোষিত জেইএম’র সাপ্তাহিক পত্রিকা আল কালাম এখনো ইন্টারনেটে পড়া যাচ্ছে। আর তাতে ‘সাদী’ ছদ্মনামে লেখা প্রায় আড়াইশ’র বেশি প্রবন্ধ রয়েছে।
এই ছদ্মনামটি জইশের প্রধান মাসুদ আজাহারের বলে দাবি করা হয়েছে।জইশ প্রধান আজহারের বিরুদ্ধে ভারতে হওয়া একাধিক জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে।
আল কালামে শেষ প্রবন্ধটি আপলোড হয়েছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি। এর ঠিক একদিন আগেই পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের বালাকোটে জইশের মূল ঘাঁটিতে আঘাত হানে ভারতের একটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান। বিমান হামলার বিষয়টি তুলে ধরে ওই প্রবন্ধে লেখা হয়েছে: ‘ভারত যেন না ভাবে আমরা ভয় পাচ্ছি’।
ভারতের অভিযোগ, ইন্টারনেটে এখনো জেইএমের পত্রিকা সচল থাকাই প্রমাণ করে, সংগঠনটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার যে দাবি পাকিস্তান করেছে তা অমূলক।
রোববার একটি আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছিলেন, জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে পাকিস্তান। প্রক্রিয়া যত এগোবে, ততই এর ফল দৃশ্যমান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে জঙ্গিদের বোমা হামলায় অন্তত ৪২ জন ভারতীয় আধাসামরিক সেনা নিহত হওয়ার ঘটনার পরেই উত্তেজনা শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে। হামলার পরপরই এর দায় স্বীকার করে জইশ-ই-মোহাম্মদ।
এরপর ১৮ই ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত এক কর্মকর্তাসহ ৪ ভারতীয় সেনা নিহত হন।
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার বদলা নিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে ১০০০ কেজি বোমা ফেলে ভারতীয় যুদ্ধ বিমান। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার কাশ্মীরে ভারতীয় দুটি যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করে পাকিস্তান। সেখান থেকে অভিনন্দন বর্তমান নামে এক পাইলটকে আটক করে পরে আবার ছেড়েও দেয়া হয়।