২০১৭ ছিল জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানে সাফল্যের একটি বছর। তবে সাফল্যের পাশাপাশি ট্র্যাজেডিও ঘটেছে, নিহত হয়েছেন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান। অপরাধ ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদায়ী বছরটি সফল হলেও নতুন করে যাতে জঙ্গিরা তৈরি হতে না পারে সেজন্য কর্মকৌশল ঠিক করতে হবে।
১৫ আগস্ট রাজধানীর পান্থপথে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে আইন-শৃংখলাবাহিনীর অভিযানে আত্মঘাতী হয় সাইফুল। জাতীয় শোক দিবসের মিছিলে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করতে বিস্ফোরকসহ অবস্থান নিয়েছিল সে।
১৬ মার্চ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানায় ৪ জন এবং রাজধানীর আশকোনায় র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে বোমা বিস্ফোরণে ১৭ মার্চ এক জঙ্গি আত্মঘাতী হয়।
সিলেটের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত হয় ৪ জঙ্গি। আতিয়া মহল নামে ওই ভবনের কিছু দূরে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেনেন্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জঙ্গিবাদ কোন দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক সমস্যা। তরুণরা যাতে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
২০১৭ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় জঙ্গি রফিকুল ইসলাম আবুসহ ৪ জন এবং ঝিনাইদহে নিহত হয় ২ জঙ্গি। রাজধানীর কাছে পূর্বাচল থেকে দুটি রকেট লাঞ্চার, এসএমজি, হ্যান্ড গ্রেনেডসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের জঙ্গিবিরোধী অভিযানের কারণে জঙ্গিরা সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশংকা করছেন তারা। তারা বলছেন, মিয়ানমারে তাদের ফেরত পাঠানোর কোন বিকল্প নেই।
বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টে: