চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জঙ্গিবাদ দমনে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বাংলাদেশ

হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। রায়ে ৮ আসামির মধ্যে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনকে খালাস দিয়েছেন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়ংকর জঙ্গি হামলা স্তম্ভিত করেছিল পুরো বাংলাদেশকে। শুধু বাংলাদেশকেই না, সারাবিশ্বের মানুষকে আহত করেছিল ওই ঘটনা। জঙ্গিবাদের শেকড় ধীরে ধীরে বিষবৃক্ষে পরিণত হয়ে কীভাবে সহিংসতার প্রসার ঘটাতে পারে, তার উদাহরণ হয়ে আছে এই হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনা।

তবে এই ঘটনার পর পরই জঙ্গিবাদ নির্মূলে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ ও কঠোর অবস্থান বিশ্ব দেখেছে, আর তিন বছরের মাথায় হলি আর্টিজানের মামলার এই রায় আরেকটি মাইলফলক হিসেবে রইলো। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছিল।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হলো-রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান ওরফে রাফিউল ইসলাম, রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আসলাম হোসেন ওরফে র‍্যাশ, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মোহাম্মদ হাদিসুর রহমান সাগর ওরফে সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন, শরিফুল ইসলাম খালেদ। আর খালাস পেয়েছে মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।

হলি আর্টিজানের হামলায় হত্যার শিকার হয়েছিলেন ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিক; তাদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয় ও ৩ জন বাংলাদেশি। এই ঘটনার পরপরই বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন করেছিল। মামলায় পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, এই হামলায় জড়িত গোষ্ঠীর নাম নব্য জেএমবি; যারা ঘটনার পর নিজেদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেট) বলে দাবি করেছিল।

রায়ের পরপরই হামলায় নিহতদের স্বজনরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দ্রুততম সময়ে এই স্পর্শকাতর মামলার রায়ের ফলে হারানো ভাবমূর্তি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে বলে আমরাও সন্তোষ প্রকাশ করছি।

মামলার রায় ঘোষণার সময় আদালত জানিয়েছে, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই ওই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই বিষয়টি ভেবে ধেখার মতো এবং ভবিষ্যতে যেনো এধরণের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত বলে আমরা মনে করি। তাছাড়া আমাদের আশাবাদ, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ পুরো রাষ্ট্র যেভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর-সতর্ক অবস্থানে ছিল তা অব্যাহত থাকবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ হয়ে ওঠুক শান্তিপূর্ণ।