প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে জন্য গণমাধ্যমকে যথাযথ ভূমিকা রাখাতে হবে।
বুধবার তথ্যভবনের ফলক উন্মোচন করে প্রধানমন্ত্রী যারা সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করেছেন তাদের কঠোর সমালোচনাও করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমালোচনা হবে, তবে সেই সমালোচনা গঠনমূলক হোক, সেই সমালোচনা যেন মানুষের কাছে বিভ্রান্তি ও বিকৃত না করে, যতোটুকু অগ্রগতি করেছি বা ভালো কাজ করেছি সমালোচনার পাশাপাশি সেগুলো বলার ও সাহস থাকতে হবে।
গণমাধ্যমককে শুধু ব্যবসায়িক দৃষ্টিতে নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বে বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলি নানা ধরণের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে। টিভি ও পত্রিকাসহ সকল মিডিয়া যেন লক্ষ্য থাকে যে বাংলাদেশে যেন কোন প্রকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা না হয় এবং এর খারাপ দিকগুলো প্রচার ও প্রকাশ হয় সে ব্যপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। মাদক দেশে ব্যাধির মতো মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ ব্যাপারে মিডিয়াকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
যারা গনতন্ত্রহীনতা নিয়ে উচ্চবাচ্য করছেন, তাদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন কেউ নাকি গণতন্ত্র দেখেন না, কেউ সংবিধান সংশোধনের জন্য আবার সংস্কার কমিশন গঠনের কথা বলেন এরাই এক সময় স্বৈরশাসকরা যখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে তখন তারা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাদের সঙ্গে চাকরী করেছেন আবার কেউ তাদের পদলেহন করেছেন।তখন কিন্তু তাদের কাছে এই চেতনাগুলি ছিল না।মনে হয় চেতনার দুয়ারটি যেন বন্ধ ছিল। আমরা এসে যখন মুক্তবুদ্ধি চিন্তার চর্চা করার সুযোগ করে দিয়েছি তখন উনাদের বুদ্ধির দুয়ার এতোই খুলে যাচ্ছে যে যতই তারা গণতন্ত্র পাচ্ছে আরো চাই আরো চাই করতে শুরু করেছে।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, এ তথ্য ভবন হবে জনগণের সঙ্গে সরকারের সেতুবন্ধ রচনার কেন্দ্র। সেই সঙ্গে স্বাধীনতার ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরো বেশি উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ৩৮ কাঠা জমির ওপর ষাট কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে ১৬ তলা তথ্য ভবন। যেখানে একই সাথে থাকবে, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয়।