রাগ করে রাঙ্গামাটি গিয়েছিলেন ছোটকাকু। দুর্বৃত্তদের সঙ্গে বুদ্ধির খেলা খেলেছেন খুলনায়। রাতবিরাতে সাতক্ষীরাতে গিয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন খারাপ চক্রের আবার কক্সবাজারে জড়িয়ে পড়েছিলেন কাকাতুয়া রহস্যে। কুয়াকাটায় দুর্ভাগ্যের সঙ্গে কাটাকুটিও হয়েছিল। গত কয়েক ঈদ ধরে বিভিন্ন অভিযানে ব্যস্ত ছোটকাকু এবারের ঈদে না জেনে চলে চলে গেলেন নারায়ণগঞ্জে। কীভাবে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছালেন সেটা এবারের রহস্য।
এবারের গল্পে দেখা মেলবে নানা ধরনের নাটকীয় ঢঙে কথা বলা এক ভদ্রলোকের। মাথায় ঝাঁকড়া চুল। নাকের ওপর গোল ফ্রেমের চমশা। ধবধবে সাদা ফতুয়া। এগুলো দেখলে কারও বলে দেওয়ার অপেক্ষা থাকে না যে, লোকটা বিজ্ঞানী। নাম তার ইন্সপেক্টর শহীদ চৌধুরী। বুকের মধ্যে লেখা শুধু চৌধুরী।
এই ধরনের নাম দেখলে প্রথমেই মনে হয়, নামের প্রথম অংশ কেন বুকের মধ্যে লেখা থাকবে না? আর এই প্রশ্নটার সামনে বোধহয় ইন্সপেক্টর শহীদ চৌধুরীকে পড়তে হয়েছে বহুবার। ছোটকাকু বসে আছেন যে চেয়ারটায় সেটা উল্লেখ করে বলার মতো কিছু নয়। কিন্তু সামনের টেবিলের ওপর অনেকগুলো কাচের ছোট শিশি রাখা। ছোট কাকু হয়তো এর মধ্যেই খুঁজে বেড়াচ্ছেন কোনো রহস্য।
ফারুক সারারাত ব্যাপারটা নিয়ে ভেবেছে। এই ধরনের ছোট ছোট ইট লালবাগের কেল্লায় দেখা যায়। লাল রঙের এই ইট দেখলেই বোঝা যায় মোগল আমলের স্থাপত্য। ছোটকাকু দড়ি আর পিস্তলের কথা বলতেই শরিফ সিঙ্গাপুরি ইতস্তত করছে।
ঘটনা প্রবাহ এরকমই এবারের ছোটকাকু রহস্যের। শিশুসাহিত্যিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর -এর ‘ছোটকাকু’ সিরিজের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে এবার নির্মিত হয়েছে ‘না জেনে নারায়নগঞ্জ’। বরাবরের মতো সিরিজটি নির্মাণের পাশাপাশি এবারও ‘ছোটকাকু’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন।
৮ পর্বের এ সিরিজে আরো অভিনয় করেছেন অর্ষা, সীমান্ত, তানভীর হোসেন প্রবাল প্রমুখ। প্রচার হবে ঈদের আগের দিন থেকে ঈদের সপ্তম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬.১০ মিনিটে।