শিশুসাহিত্যিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর-এর ‘ছোট কাকু’ সিরিজের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে এবার নির্মিত হয়েছে ‘জয় হলো জয়দেবপুরে’।
বরাবরের মতো সিরিজটি নির্মাণের পাশাপাশি এবারও ‘ছোট কাকু’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন। ৮ পর্বের এ সিরিজে আরো অভিনয় করেছেন অর্ষা, সীমান্ত, তানভীর হোসেন প্রবাল প্রমুখ।
চ্যানেল আইতে প্রচার হবে ঈদুল ফিতরের আগের দিন সন্ধ্যা ৬.১০ মিনিট থেকে একই সময়ে প্রতিদিন ঈদুল ফিতরের সপ্তম দিন পর্যন্ত।
এবারের গল্পে দেখা যাবে-বাইরে প্রচণ্ড শব্দ করে একটা গাড়ি ব্রেক কষল। যে রাস্তায় গাড়িটি ব্রেক কষল তা ততটা বড় নয়। এই রাস্তায় সচরাচর এত জোরে কোনো গাড়ি ব্রেক কষে না। নীল রঙের গাড়ি মহল্লার বাড়িটির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এত জোরে শব্দ করে ব্রেক কষায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মানুষের জটলা তৈরি হয়ে যায়।
গাড়ির সিটে যে লোকটি বসে রয়েছে সেই লোকটির একটা পা নেই। সিটের পাশে একটা স্ক্র্যাচ। খোঁড়া লোকটা কয়েকদিন ধরে এ পাড়ায় গাড়ি চালিয়ে কী করার চেষ্টা করছে?
জয়দেবপুরের একটি কারখানা থেকে র্যালির জন্য বেশকিছু গাড়ি নেওয়া হয়েছে। এই গাড়িগুলোর যে কোনো একটির মধ্যে বোমা লাগানো আছে। ছোটকাকু খবর পেয়ে ছুটে গেলেন সেখানে। ততক্ষণে গাড়িগুলো র্যালি নিয়ে ছুটে চলেছে মহাসড়কে। ছোটকাকু এসপি সাহেবকে নিয়ে দাঁড়ালেন চৌরাস্তায়। এখানে একটি মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য আছে। ছোটকাকুর তাৎক্ষণিক একটি বুদ্ধি বের করলেন, মহাসড়কের এই গাড়িগুলো থামানো দরকার। চৌরাস্তা মোড়ে হঠাৎ করেই জোরে ব্রেক কষল একটি বাস। বাস ড্রাইভার এসপি সাহেবের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতেই ছোটকাকু খুব বাজে ব্যবহার করলেন বাস ড্রাইভারদের সঙ্গে। বাস ড্রাইভারটি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা। সঙ্গে সঙ্গেই বাস ধর্মঘট শুরু হয়ে গেল সারাদেশব্যাপী।
‘ছোটকাকু’ বোমা বিশেষজ্ঞ দলটি যারা হেলিকপ্টারযোগে যাচ্ছিল তাদের ইনফর্ম করা হলো, মহাসড়কের ঐ জায়গায় বোমা লাগানো বাসটি শনাক্ত করতে। শেষপর্যন্ত বোমা বিশেষজ্ঞ দল বাসটি থেকে বোমা অপসারণ করে।
‘ছোটকাকু’ পুরো বিষয়টি যখন সকলের সামনে ব্যাখ্যা দেন, তখন সবাই বুঝতে পারে, সবকিছুই ছিল ছোটকাকুর বুদ্ধির একধরনের খেলা। শেষ পর্যন্ত জয় হয় জয়দেবপুরে।