টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতিতে ছেলের সামনে মাকে নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ঘাটাইল ও কালিহাতীর জনগণ। জড়িতদের শাস্তির দাবি ও পুলিশের বিরুদ্ধে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জন।
নিহতদের একজন পৌর এলাকার রবি সুতারের ছেলে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া শ্যামল দাস (১৫) নামে একজন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দু’একটি যানবাহন চলাচল করছে। এলাকার নিরাপত্তার জন্য বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ টহল দিচ্ছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঘাটাইল উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে আল-আমিন ও তার মাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রোমা ও তার সহযোগীরা। তাদের আটকে রেখে বিবস্ত্র করে মারধরের পরে আল-আমিনের মাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত রফিকুল।
ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিতা ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
তবে শুধুমাত্র বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে, ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে কালিহাতি থানা পুলিশ। নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম রোমাসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীকে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জয় সরকার।
ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে ঘাটাইল এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে কালিহাতী থানা অভিমুখে রওনা হলে কালিহাতী পুলিশ ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর এলাকায় তাদের বাধা দেয়। সেসময় জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকশ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায় পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হন।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।