বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এক মা যোগ দিয়ে বলেন, বাবারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছেড়ো না। আমার ছেলেকে তোমাদের কাছে রেখে যাচ্ছি।
আর ছেলেকে বলেন, বাবা, দাবি আদায় হলে তবে বাড়ি আসবি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ বহন করতে যখন নাভিশ্বাস অভিভাবকদের, তখন আরোপিত মূসক বাড়তি চাপ বলে মনে করছেন এই অভিভাবক।
বেসরকারি মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফির উপর মূসক প্রত্যাহারের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে আসা এই অভিভাবক বলেন, আমার ছেলেকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করতে পারিনি। বাধ্য হয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করতে হয়েছে।
‘নিজে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্রাতিরিক্ত খরচ বহন করতে করতে আমি এমনিতেই ক্লান্ত। তার উপর বাড়তি টাকা! আমি আজ আমার ছেলেকে তোমাদের কাছে রেখে যাচ্ছি, তোমরা দাবি আদায় করেই বাড়িতে ফিরবা।’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি চোখের পানি আটকে রাখতে পারেননি।
অবরোধ কর্মসূচি ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়লো আরও। সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অমানবিকতার চিত্রও উঠে আসে।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের ৮ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মোহম্মদ ফয়েজ রিমেল। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি জানান, একমাস আগে আমাদের প্রি-রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে। কোরবানি ঈদের পর থেকে ক্লাস শুরু হবে। আমার কাছে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বিশ হাজার টাকা ছিলো। কিন্তু ভ্যাটের বাড়তি ১,৫০০ টাকা না থাকায় রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি।