ঝগড়া করে দিনকয়েক আগে মা চলে যান মায়ের বোনের বাড়ি। তারপর থেকে বাবার জিম্মায় দিন কাটে এগারো বছরের কিশোরের। সেদিন ইচ্ছা হয়েছিল মিষ্টি খাবে। বাবাকে জানায়নি সে। বরং কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে সামান্য গম নেয় কিশোর। সেই গমের বিনিময়ে মিষ্টি কেনে। তা জানার পর আর নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি বাবা। শাস্তি দিতেই ছেলেকে উলটো করে ঝুলিয়ে দেন। এরপর শুরু হয় বেধড়ক মারধর। এমনকি সন্তানের গায়ে গরম পানি ঢেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের মেওয়ালি গ্রামের এই ঘটনার নৃশংস ঘটনা ঘটে। সন্তানের উপর নারকীয় অত্যাচারের ওই ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মারধরের সময় প্রতিবেশীরা আশেপাশেই উপস্থিত ছিল। তবে কেউ ওই ব্যক্তিকে মারধরে বাধা দিতে এগিয়ে আসেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই ভিডিও নজর এড়ায়নি পুলিশেরও। তারপরই ভারতের জাগন থানার পুলিশ অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগে ওই কিশোরের বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ৪৫ বছরের বাবা গুড্ডু খান। তিনটি সন্তান রয়েছে তার। যাকে মারধর করা হয়েছে সে তার প্রথম সন্তান। নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য লেগেই থাকে। দাম্পত্য সম্পর্ক ঠিক সুখের না হওয়ায় স্ত্রী তার শ্যালিকার বাড়ি চলে গিয়েছেন। আপাতত তিন সন্তানকে দেখভালের দায়িত্ব তার। বাড়ি থেকে গম ‘চুরি’ করে নিয়ে গিয়ে মিষ্টি কেনার কথা জানার পর নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেনি। তাই ছেলেকে মারধর করে।
নিজের সন্তানের উপর অমানবিক অত্যাচারের সময় কি মদ্যপ অবস্থায় ছিল গুড্ডু? অভিযুক্তের দাবি সে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সন্তানকে মারধর করেনি। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫ এবং ৩২৩ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কিশোরেরও চিকিৎসা বন্দোবস্ত করেছে পুলিশ।