দেশের সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যু যেন এখন নিত্যদিনের স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে! এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ছুটির দিনেও মাত্র দুই জেলায় ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
চ্যানেল আইয়ের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘‘সিলেট ও বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
এরমধ্যে শুক্রবার সকাল ৭ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রশিদপুরে সিলেটগামী লন্ডন এক্সপ্রেস ও ঢাকাগামী এনা পরিবহন বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান আরও ৪জন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন দুই বাসের ২০ যাত্রী।
দ্রুতগামী লন্ডন এক্সপ্রেস পরিবহনের বাসটি ওভারটেক করতে গেলে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
অন্যদিকে বগুড়ার শাজাহানপুরে যাত্রীবাহী বাস এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এরা সকলেই সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। ভোর ৬টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের মাঝিড়া বাসস্ট্যান্ডে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।’’
আমরা বরাবরের মতো এখনও বলতে চাই, যেকোন মূল্যে সড়কে মৃত্যুর মিছিল শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে হবে। এজন্য সব পক্ষকে পর্যাপ্ত কাউন্সেলিং, প্রশিক্ষণসহ যা যা করা দরকার, তা করতে হবে। এ বিষয়টিকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। নয়তো এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না।
এজন্য সড়ক পরিবহন আইনের ব্যবহার করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।