বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে যে কোনো সমস্যায় ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনেও দুই দেশ এক সাথেই পথ চলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সফরত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালি জাওয়ানদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে ভারতীয় সেনারা। কার রক্ত কোনটা এটা কেউ আলাদা করতে পারবে না।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে তার প্রথম রাজনৈতিক কার্যক্রম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি রাজনীতিতে অনেক দেরি করে এসেছি। বাংলাদেশের মানুষের উপর পাকিস্তানী সেনাদের নির্মম অত্যাচারে আপনারা যেমন ফুঁসতেন, ওপার থেকে আমাদেরও রক্ত গরম হয়ে উঠতো।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের সমর্থনে প্রথম সত্যাগ্রহ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এটিই আমার জীবনে প্রথম কোনো রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশ নেওয়া। এরপরও বহু বছর রাজনীতির বাইরে ছিলেন বলে স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
ভারত কারও ভূমি দখলের জন্য যুদ্ধে অংশ নেয়নি। বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলো, বলে তিনি উল্লেখ করেন।
যুদ্ধে পাকিস্তানের ৯০ হাজার সৈন্য আত্মসমর্পন করেছিলে। এখন ৯০ জনের একটা প্লেন ছিনতাই করেই অনেক কিছু দাবি করে। কিন্তু ভারত কিছুই দাবি করেনি।
সামনের দিনগুলোতে দুই দেশ এক সাথে পথ চলবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব দরবারে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশকে এক হয়ে লড়তে হবে। তবেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।