চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ছিনতাইয়ের ৪১ দিন পর ভুট্টা ক্ষেতে মিলল ১ বস্তা ব্যালট

ইউপি নির্বাচন

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থেকে ছিনতাই হওয়ার ৪১ দিন পর বেশ কিছু সিল মারা ব্যালট পরিত্যক্ত অবস্থায় ভুট্টা ক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার বিকেলে উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের পুংলিপাড়া এলাকা থেকে ব্যালট পেপারগুলো উদ্ধার করা হয়।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজমা সুলতানা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নির্বাচনের ৪১দিন পর সিল মারা ব্যালট পেপারগুলো উদ্ধার করেন।’

‘‘যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে সুতরাং আলামত হিসেবে তদন্তকারী কর্মকর্তা সেগুলো এখন আদালতে জমা দেবেন।’’

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওহাব বলেন, ‘গত ২৬শে ডিসেম্বর উপজেলার চরচন্দনী দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা ফিরে আসার সময় কিছু লোক আক্রমণ চালিয়ে তাদের কাছে থাকা সিলযুক্ত ব্যালট পেপার ছিনতাই করে।’

‘‘সেসময় তাদের হামলায় পুলিশসহ নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা আহত হয়। পরে নির্বাচনের ৪১ দিন পর একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে বস্তা ভর্তি ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়।’’

উদ্ধারের পর ব্যালটের বস্তা নিয়ে আসা হয়েছে থানায়। সেখানে গণনা শেষে বস্তায় কতটি ব্যালট পেপার মিলেছে সে বিষয়ে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান ওসি মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব।

গত ২৬শে ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ভূঞাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের চরচন্দনী দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণা করে সিলযুক্ত ব্যালট পেপার নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা নিয়ে আসার সময় হামলা চালায় দূর্বৃত্তরা।

সেই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে দুর্বৃত্তদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে গুলিও চালায়। ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা আহত হয়।

ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৮/৯শ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলো ২ হাজার ৩৭৫ জন। মোট ভোট কাস্ট হয় ২ হাজার ২৯টি। এর মধ্যে বাতিল হয় ২০টি ভোট। অনুপস্থিত থাকে ৩৪৬ জন ভোটার। ছিনতাই হওয়া বস্তাতেই ছিলো সমস্ত ব্যালট পেপার।

নির্বাচনের ফল অনুযায়ী ওই কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে শাহ আলম শাপলা পান ১ হাজার ৩৩৬ ভোট, নৌকা প্রতীকে মনিরুজ্জামান মনির পান ৪৬৬ ভোট এবং আনোয়ার হোসেন তালুকদার জিন্নাহ পান ২০৭ ভোট।