বহুল আলোচিত সীমান্ত চুক্তি ভারতের পার্লামেন্টে পাশ হওয়া একটি মানবিক সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গোলটেবিল বৈঠকে তারা বলেছেন, এখন ছিটমহলের বাসিন্দারা তাদের জমি বেচাকেনায় কী পদ্ধতি গ্রহণ করবে আর তাদের জীবন মান উন্নয়নে আশু কি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, সেজন্য একটি কমিটি করা জরুরি।
বৈঠকে জিএম কাদের, সাদেকা হালিম, মে. জে. আব্দুর রশীদ, ড দেলোয়ার, মোহাম্মদ আলী শিকদার, মোবাশ্বের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল সমস্যা ৬৮ বছরের। এর সমাধান ছিলো মুজিব-ইন্দিরা চুক্তিতে। কিন্তু ভারতের পার্লামেন্ট সীমান্ত চুক্তি বিল পাসে সময় লাগলো চার দশক। সম্প্রতি বিলটি পাস হওয়ার প্রেক্ষাপটে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন’র এ গোলটেবিল বৈঠক। বক্তারা ছিটের বাসিন্দাদের অধিকার রক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।
বৈঠকে ছিটমহলের বাসিন্দারা যেন নিজ পরিচয়ে শিক্ষার সুযোগ পায় সেই নিশ্চয়তা দেয়ার দাবি জানান বক্তারা। এসব ছিটমহলবাসীদের মানবিক সমস্যাগুলোর সমাধান কি করে আসবে সেটা নিয়েও কথা বলেন তারা। তবে এই ছিটমহল সমস্যার সমাধানে যে ভারত ও বাংলাদেশের দীর্ঘ সময়ের ভুল বোঝাবুঝি যা নিয়ে অনেকেই রাজনীতি করতে চায় তার অবসান হবে বলেই মনে করেন বক্তারা।
রাজনীতিবিদ, কুটনীতিক, অর্থনীতিবিদ সকলেই বলছেন, এ চুক্তি বাস্তবায়নের পর দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক অনেক বিষয়েরই সমাধান হবে। তবে দুদেশের ছিটমহলের বাসিন্দারা কৃষিকাজের উপরই নির্ভরশীল ছিলো। সেক্ষেত্রে জমির অদল বদল বা জমি বেচা কেনা কি করে হবে সেটা নিয়েও আলোচনা করতে হবে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে রাজনীতি না করার আহবানও জানান গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেওয়া বক্তারা।