বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ছাপা পত্রিকা এখন অস্তিত্ব সংকটে। হাতে গোণা কয়েকটি বাদে অধিকাংশই লোকসান গুনছে বছরের পর বছর। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেছেন: প্রযুক্তি এবং আধুনিকতার প্রভাবে এ ধরনের বিবর্তন আসতেই থাকবে, তবে এ বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
শুক্রবার গণভবনে ব্রুনাই সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ’ এর মহাসচিব কিবরিয়া চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: প্রযুক্তি এখন আমাদের বিশ্বকে জানার সুযোগ করে দিয়েছে। এর যেমন সুবিধা আছে, ঠিক তেমনি সমস্যাও আছে।
ছাপা পত্রিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন: সারা জীবন যদি একটি ধারাবাহিকতা চলতে থাকে তাহলে তো হবে না। বিশ্বের অনেক নামিদামি পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। এমন অনেক পত্রিকা এখন শুধু অনলাইনে চলে, ছাপানো হয় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: প্রযুক্তি এবং আধুনিকতার প্রভাবে এ ধরনের বিবর্তন আসতেই থাকবে, তবে এ বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এটা হলো বড় কথা। তারপরও বাংলাদেশে ডেইলি পত্রিকা প্রায় ৭শ’র উপরে। মফস্বলে আমাদের প্রচুর পত্রিকা। এত পত্রিকা তো পৃথিবীর কোন দেশে চলে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি সিঙ্গাপুরের উদাহরণ তুলে ধরেন।
সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন: সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ডের জন্য যতটুকু করা প্রয়োজন আমরা করে দিয়েছি। এখন তারা মালিকপক্ষের কাছ থেকে আদায় করে নেবেন। আমাদের এখানে আর কিছু করার নেই।