চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ছাত্রী ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষককে হাজতে প্রেরণ

টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল রহিম নামে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করে হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বাড়ি জেলার ভূঞাপুর উপজেলার মাটিকাটা গ্রামে।

জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের শিক্ষক আব্দুর রহিম প্রতিষ্ঠানটির ৫ম সেমিস্টারের এক ছাত্রীকে পৌর এলাকার দেওলা নামক স্থানে আমিন রাইচ মিলের পূর্ব পাশে নিজ বাসায় ডেকে নেয়। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের কথা অস্বীকার ও ইন্টারনেটে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিলে গত ৩১ আগস্ট ছাত্রীটি আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

পরে আত্মহত্যার ঘটনাটি জানাজানি হলে সহপাঠীদের ঘটনাটি খুলে বলে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে তারা। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশ গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচী প্রত্যাহার করে এবং প্রতিষ্ঠানের জরুরী সভায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়।

এর একদিন পর ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটি বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

ওই ছাত্রী বলেন, বিয়ের প্রলোভনে ওই শিক্ষক আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তার চরিত্র সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। সরল বিশ্বাসে তার বাসায় গেলে সে আমাকে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ে করার চাপ দিলে তা অস্বীকার করে ইন্টারনেটে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখায়। লোকলজ্জার ভয়ে আমি আত্মহত্যা করতে গেলে বিষয়টি সহপাঠীদের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। আমার জীবন নষ্ট করে দেবার জন্য তার উপযুক্ত বিচার চাই। যাতে আর কোন শিক্ষক ছাত্রীদের দিকে কুনজর না দিতে পারে।

ছাত্রীটি আরো বলেন, ওই শিক্ষকের লোকজন থানায় মামলা করায় আমার পরিবারকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এখন আমার সাথে সাথে আমার পরিবারের লোকজনও ভীত হয়ে পড়েছে।

টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা: নাছরিন সুলতানা বলেন, ওই ছাত্রীর আজ ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইল মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও আজ বাদীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।