কক্সবাজারের পেকুয়ায় এহসান আরাফাত ইয়াসিন নামের এক তাতী লীগ নেতার ছোড়া গুলিতে আবুল হোসেন (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অস্ত্রসহ ইয়াসিনসহ ৮ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত ১টার দিকে সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকায় আরাফাতের গুলিতে আবুল হোসেন ও তার ভাই যুবলীগ নেতা মো. শাহজাহান গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিন্তু শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসক। চমেক হাসপাতালে বুধবার সকালে আবুল হোসেনের মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়।
নিহত আবুল হোসেন পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকার নুরুল হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পেকুয়া সদর ইউনিয়ন তাঁতিলীগ সভাপতি এহসান আরাফাত ইয়াসিনসহ আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় আটক ইয়াসিন ও কাইয়ুমের স্বীকারোক্তি মতে পলাতক অভিযুক্ত সালাহ উদ্দিনের বাড়ী থেকে একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক (এলজি), একটি একনলা লম্বা বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজ, কার্তুজের একটি খোস ও তিনটি কিরিচ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে শাহজাহানের একটি ছাগল চুরি হয়। এনিয়ে বাইম্যাখালী গ্রামের তোফাইল, সাদ্দাম, সালাহ উদ্দিনসহ কয়েকজনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে শাহজাহান। মঙ্গলবার বিবাদীদের বিরুদ্ধে নোটিশ দেয় পুলিশ। এ নোটিশ দেয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা শাহজাহানের সাথে অভিযুক্তদের দু’দফা বাকবিতণ্ডা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে শাহজাহান ও তার ভাইসহ কয়েকজন বাড়ির পাশে সড়কে গল্প করছিলেন। এ সময় শাহজাহান ও তার ভাই আবুল হোসেনকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে এবং তাদের এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় ইয়াসিন, সালাহ উদ্দিনসহ ৮/১০জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি।
এব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৮ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসাথে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র গুলোও উদ্ধার করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছ।