পেশাদার ক্রিকেটে কোনও অজুহাত চলে না। যেখানে যেমন, সেখানে তেমন খেলতে হয়। তবু এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে গেলে কিছু সমস্যা নিয়ে সব দলকেই মাথা ঘামাতে হয়। অস্ট্রেলিয়া যেমন বাংলাদেশে এসে মানিয়ে নিতে হিমশিম খেয়েছে। ঠিক তেমনি বাংলাদেশও এবার সাউথ আফ্রিকায় গিয়ে ওই মানিয়ে নেয়ার লড়াইয়ে ব্যস্ত।
মঙ্গলবার প্রথম পর্বের অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন মুশফিকরা। বেনোনির সাহারা উইলোমুর পার্ক মাঠে রোদ ঝলমলে দিনে নেটে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন হয়েছে বেশি।
এই মাঠেই ২১-২৩ সেপ্টেম্বর সাউথ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের সঙ্গে একটি তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
নয় বছর পর সাউথ আফ্রিকা সফরে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পূর্ণাঙ্গ সিরিজের শুরুটা টেস্ট দিয়ে। ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়াকে হারানো বাংলাদেশর সামনে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে তাই মুশফিকবাহিনী অনুশীলনটা চালিয়ে যাচ্ছেন পুরোদমে।
পচেফ্স্ট্রুমে সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু ২৮ সেপ্টেম্বর।
বাংলাদেশ দল কয়েক ভাগে সাউথ আফ্রিকা গেছে। দ্বিতীয় ভাগের সদস্যরা সাউথ আফ্রিকা পৌঁছান ১৭ সেপ্টেম্বর। পরদিনই নামেন অনুশীলনে। একদিন দেরিতে সাউথ আফ্রিকা গিয়ে দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেন তামিম ইকবাল ও শুভাশিস রায়। ছিলেন কোচিং স্টাফদের সবাই।
সাউথ আফ্রিকার কঠিন কন্ডিশন মানিয়ে নিতে দলের সব খেলোয়াড় যখন ঘাম ঝরাচ্ছেন ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে থাকা রুবেল হোসেন তখনও দেশে। প্রোটিয়াদের ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ছাড়পত্র না আসায় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসতে হয়েছে টাইগার পেসারকে।
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান জানালেন, দুই-একদিনের মধ্যেই ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন রুবেল এবং দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
ছবি: বিসিবি