সাউথ আফ্রিকা সফরে গিয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। পচেফস্ট্রমের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে ৩৩৩ রানের হারের হতাশায় পড়েছে। দ্বিতীয় টেস্টে মুশফিকদের জন্য অপেক্ষা করছে আরও বড় চ্যালেঞ্জ। তবে কেবল টেস্টেই নয়, টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা মনে করেন, চলতি সফরের প্রত্যেকটা ফরম্যাটেই থাকবে ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ।
শুভেচ্ছাদূত হিসেবে একটি মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠানের সেরা কর্মীদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন মাশরাফী। সেখানেই জানালেন প্রোটিয়া সফরের কঠিন অঙ্কের কথা, ‘চ্যালেঞ্জ তো প্রত্যেকটা জায়গায়। চ্যালেঞ্জের কোনও শেষ নেই। এখন দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে, সেটাতেও থাকছে ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। এমন না ওখানে কেবল মানিয়ে নেওয়ার, ভিন্ন উইকেট। ডু প্লেসিসকে দেখলাম দ্বিতীয় টেস্টে ও চাচ্ছে বাউন্সি উইকেট, চ্যালেঞ্জ তো আরও বাড়বেই।’
দুই টেস্টের শেষে রয়েছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী দলের সঙ্গে যোগ দিতে ঢাকা ছাড়বেন ৯ অক্টোবর। জাতীয় ক্রিকেট লিগের দুই রাউন্ড খেলার পর কয়েকদিন বিশ্রামে কাটিয়ে অনুশীলন শুরু করেছেন ম্যাশ। সোমবারের দুপুরটাও মিরপুরের জিমে কেটেছে তার। মঙ্গলবার করবেন সাদা বলে বোলিং অনুশীলন।
আপাতত সব প্রস্তুতিই আসন্ন ওয়ানডে সিরিজকে পাখির চোখ করে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সেই সিরিজেও চ্যালেঞ্জের কমতি দেখছেন না মাশরাফী, ‘ওয়ানডেতে কী উইকেট করবে সেটা জানি না। সাউথ আফ্রিকায় সাধারণত যেটা হয়, ৩৫০ থেকে ৩৭০ রান হওয়ার মতো উইকেট করে। সেটা কিন্তু আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। সহজ উইকেট করে দিলেই সবকিছু সহজে করতে পারব, এমনও না। ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ আছে। বাইরের কন্ডিশনে গিয়ে যখন খেলা, তখন প্রত্যেকটা ম্যাচই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।’
যারা টেস্ট খেলতে গেছেন সেই স্কোয়াড থেকে দুই-তিনটি পরিবর্তন আসতে পারে ওয়ানডের দলে। তাই যারা টেস্ট দলে আছেন তাদের কেবল ব্লুমফন্টেইন টেস্ট নিয়েই ভাবতে বললেন অধিনায়ক, ‘এমুহূর্তে যেটা বলতে পারি, যারা খেলছে, যে টেস্ট ম্যাচটা আছে, তাদের সেটা নিয়েই ভাবা উচিত। আমরা যখন ওয়ানডে খেলতে যাব, নতুনভাবে শুরুর চিন্তা করব যে ওয়ানডেতে কেমনভাবে খেলা যায়।’