জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৭ বছরের সাজা চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার বকশিবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, এ মামলায় ৩২ জন সাক্ষীর মাধ্যমে আমি প্রমাণ করতে পেরেছি যে, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অধীনে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
‘একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি ১৬ কোটি মানুষের সাথে শপথ ভঙ্গ করেছেন। আমি ১৯৪৭ সালের আইনে ৫ এর ২ ধারায় তার সর্বোচ্চ সাজা প্রার্থনা করছি যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কেউ দৃষ্টান্ত দেখাতে না পারেন।’
কাজল আদালতকে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী। বিএনপির প্রধান। সে হিসেবে আমরা তাকে সম্মান করি। আমি এখানে রেকর্ডেড সাক্ষী উপস্থাপন করেছি। ব্যক্তিগত কোন আক্ষেপ থেকে কিছু বলিনি। আমি বলবো, একজন প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতিও যদি অন্যায় করে থাকেন তাহলে তাকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’
এ সময় আদালতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।
এ মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য আসামীরা হলেন, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর পিএস জিয়াউল ইসলাম মুন্না, সাদেক হোসেন খোকার পিএস মনিরুল ইসলাম।
বিস্তারিত দেখুন পরাগ আজিমের ভিডিও রিপোর্টে: