বারবার সতর্ক করে দেয়ার পরও দলবদলে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে আছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র নিয়মভেঙে খেলোয়াড় কেনার দায়ে সিটিজেনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বন্দোবস্ত প্রায় সেরে ফেলেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা উয়েফা। রায় আসতে পারে চলতি সপ্তাহেই।
ম্যানসিটির বিপক্ষে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে তার একটা ইঙ্গিতও দিয়েছে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকা। আগামী অথবা পরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অর্থাৎ, ২০২০-২০২১ আসর থেকে নামিয়ে দেয়া হতে পারে সিটিজেনদের!
নিউইয়র্ক টাইমসের সেই প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে যে ‘দলবদলের ভুল তথ্য সরবারহ করে উয়েফাকে ভিন্ন পথে পরিচালনা করেছিল ম্যানসিটি।’ এমনকি পৃষ্ঠপোষক সম্পর্কেও উয়েফাকে সঠিক তথ্য দেয়নি দলটি।
ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র আইনভাঙার দায়ে ম্যানসিটি ও ফরাসি জায়ান্ট পিএসজির দিকে কঠিন নজর রেখেছিল উয়েফার ডিসিপ্লিনারী বডি। ফুটবল লিকসের সবশেষ ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনগুলোতে উঠে এসেছে এসব অজানা তথ্য। দুটি ক্লাবই সবশেষ কয়েক মৌসুমে তাদের আয়ের তুলনায় ব্যয় করেছে কয়েকগুণ যা ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র আইন বহির্ভূত।
এসবক্ষেত্রে একাধিকবার ক্লাবগুলোকে সতর্ক করে দেয় উয়েফা। এরপরও কোনো ফল না পেলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে উয়েফা আয়োজিত যেকোনো প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ হারায় ক্লাবগুলো। ২০১৪ সালে ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নিয়ম ভাঙার দায়ে ম্যানসিটিকে ৬০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করেছিল উয়েফা। নিষেধাজ্ঞার কারণে সে বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২৫ জনের জায়গায় ২১জনকে নিয়ে খেলতে হয়েছিল সিটিজেনদের।