নকআউট পর্বের ড্রতেই ছিল তুমুল যুদ্ধের আভাস। রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে সেই লড়াই। প্রথম দিনই মুখোমুখি জুভেন্টাস ও টটেনহ্যাম। অন্য ম্যাচে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হওয়া বাসেলের প্রতিপক্ষ নিজেদের ইতিহাসে সেরা ছন্দে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি।
টটেনহ্যামকে আতিথ্য দিতে এখন পুরোপুরি প্রস্তুত তুরিন। ক্লাব ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি জুভেন্টাস গত তিনবারের মধ্যে দুবারই ফাইনাল খেলেছে। এর আগে দুবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছে তারা। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো বড় আসরে প্রতিষ্ঠিত শক্তি জুভেন্টাস।
যদিও সাম্প্রতিক সময়টা খুব একটা ভালো কাটছে না দলটির। শেষ ছয় মৌসুমে লিগ চ্যাম্পিয়নরা বর্তমানে আছে লিগ টেবিলের দুই নম্বরে। অবশ্য গত ১৬ ম্যাচে অপরাজিত থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতও দিয়েছে অ্যালিগ্রির দল। এমনকি ২০১৮ সালে এখন পর্যন্ত কোনো গোল হজম করেনি জুভরা।
তবে এ ম্যাচের আগে ‘তুরিনের বুড়ি’দের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ হতে পারে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পাওলো দিবালার অনুপস্থিতি। সেই সঙ্গে আন্দ্রে বারজালি, বেনেডিক্ট হাওয়েডেস ও হুয়ান কোয়াদ্রাদোরাও থাকছেন না। চোটের খবর নিতে গেলে তাই জুভদের জন্য দুঃসংবাদই বেশি।
বিপরীতে বড় কোনো চোটের আশঙ্কা নেই টটেনহ্যাম শিবিরে। পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই তুরিনোতে মাঠে নামতে যাচ্ছে তারা। প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে থাকলেও সময়টা বেশ ভাল যাচ্ছে ‘স্পারদের’। সর্বশেষ ম্যাচে ওয়েম্বলিতে আর্সেনালকে হারিয়ে বেশ উজ্জ্বীবিতই থাকবে মাউসিরিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। দলের জন্য সুখবর সেরা তারকা হ্যারি কেনের ছন্দে থাকা। ‘গানার’দের বিপক্ষে জয়সূচক গোলটিও এসেছে তার পা থেকে। চলতি মৌসুমে সবমিলিয়ে ৩৪ গোল এসেছে কেনের পা থেকে। তাই এ ম্যাচেও জুভেন্টাসের জন্য অন্যতম হুমকির নাম কেন। পাশাপাশি দারুণ ফর্মে থাকা ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনও আতঙ্ক ছড়াতে পারেন জুভ শিবিরে।
কোনো প্রতিযোগিতামূলক আসরে এই প্রথম মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস-টটেনহাম। এর আগে অবশ্য গত গ্রীষ্মে প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে টটেনহামের কাছে হেরেছে জুভেন্টাস।
একই রাতের অন্য ম্যাচে এফসি বাসেলের মুখোমুখি হবে ম্যানসিটি। এ ম্যাচে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ম্যানসিটির সামনে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বাসেলকে। অবশ্য স্বাগতিকদের আশা জাগাতে পারে ঘরের মাঠে গ্রুপপর্বে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারানোর সুখস্মৃতি। সে ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছিল তারা।
অন্যদিকে গ্রুপ ‘এফ’ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে পেপ গার্দিওলার ম্যানসিটি। যেখানে ৬ ম্যাচের ৫টিতেই জিতেছে তারা। এ ম্যাচেও নিশ্চিতভাবে ফেভারিট প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে থাকা দলটি।