আজ দেশের একজন প্রান্তিক কৃষক থেকে শুরু করে, রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী পর্যায়েও গণমাধ্যমের যে অপরিহার্যতা তৈরি হয়েছে সেখানে চ্যানেল আই তার স্বকীয় বৈচিত্র্যে ও বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল বলে মন্তব্য করেছেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।
চ্যানেল আইয়ের বিশ বছর পর্দাপণ উপলক্ষে দেয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা বার্তায় শাইখ সিরাজ আরো বলেন, ‘গণমাধ্যমে আমার বা আমার বন্ধুদের বয়স বাড়ছে, বাড়ছে চ্যানেল আইয়ের বয়স। সেও আজ বিশে পৌঁছে গেল। সময় দ্রুত চলমান। সবকিছু বদলে দিয়ে সে চলতেই থাকে, আর আমরা মুখোমুখি হতে থাকি নতুন কিছুর। ১৯৯৯ সালে একেবারে নতুন এক উচ্ছ্বাস নিয়ে বাংলাভাষী মানুষের প্রাণের মাধ্যম হিসেবে গড়ে ওঠার প্রত্যয় নিয়েই যাত্রা শুরু হয়েছিল চ্যানেল আইয়ের। পৃথিবীতে মানুষের যে চাহিদাকে সামনে নিয়ে গণমাধ্যম এসেছিল, সময়ের সঙ্গে সেই চাহিদার পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটটিও আমাদের মাথায় ছিল। তাই আমরা সবসময় সময়ের সঙ্গেই থাকতে পেরেছি। আজ গণমাধ্যমের অবাক রকম বিকশিত সময়ে এসে আমরা সমান গতিতে সমান ঐশ্বর্যে আছি গণমানুষের সঙ্গে। আমরা আছি মানুষের চিন্তা ও রুচিতে মিশে সমান ভালোবাসা নিয়ে। আমরা আছি আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ উৎকর্ষে, আমরা আছি সামাজিক যোগাযোগে সর্বোত্তম ও বিপুল সমর্থনে। এর মধ্য দিয়ে আমরা প্রতিনিয়তই মানুষের আরো কাছাকাছি পৌঁছুতে পারছি, পারছি দিনে দিনে সম্পর্কের বৃত্তকে আরো বড় করতে।’
‘আমরা শুধু টেলিভিশন করতে চাইনি, চেয়েছি জীবন-জীবিকা, শিক্ষা, তথ্য, সংস্কৃতি আর মানুষের নিত্যদিনের প্রয়োজনকে সামনে এনে জাতীয় জীবনের চাহিদাগুলোর সঙ্গে গণমাধ্যমকে গভীরভাবে যুক্ত করতে। সেই জায়গা থেকেই আমরা দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ থেকে শুরু করে গণ আকাঙ্ক্ষার জায়গাগুলোকে নিয়ে কাজ করার প্রয়াস নিতে পেরেছেন বলে জানান চ্যানেল আই‘র পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।
বিশ বছরে পদার্পণের শুভক্ষণে বিশ্বময় চ্যানেল আই এর সকল দর্শক, গ্রাহক, বিজ্ঞাপনদাতাসহ অগণন শুভার্থীর জন্য উষ্ণ অভিনন্দন জানান এই গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।