বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ফিল্ম ফেস্টিভালগুলোতে এখন ইরানি সিনেমার জয়জয়কার। কান, লোকার্নো, বার্লিনসহ সব ফিল্ম ফেস্টিভালগুলোতেই এখন শক্ত অবস্থানে আব্বাস কিয়ারোস্তামির উত্তরসুরিরা। সমানভাবে বরাবরই অস্কারেও দাপট দেখান তারা। গেল ৯০তম অস্কার অ্যাওয়ার্ড-এর আসরে ‘সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র’ বিভাগে চূড়ান্ত মনোনয়নে ছিলো ইরানের ছবি ‘ব্রেথ’! অস্কার ঘোষণার আগ পর্যন্ত যে ছবিটি ছিলো আলোচনায়।
আর এই ছবির নির্মাতা একজন নারী। ইরানের ইতিহাসে প্রথম কোনো ঘটনা যেখানে অস্কারে পাঠানো হয় কোনো নারী নির্মাতার ছবি! এই ছবির পর আন্তর্জাতিক ভাবে খ্যাতি লাভ করেন নার্গিস।
বর্তমানে নির্মাতা ব্যস্ত আছেন তার পরবর্তী সিনেমার শুটিং নিয়ে। গল্পের প্রয়োজনে তিনি গেল সপ্তাহ থেকে শুটিং করতে ছুটে এসেছেন বাংলাদেশের জনবহুল শহর ঢাকায়! শুটিং করছেন কারওয়ান বাজার, নিউ মার্কেটের মতো গিঞ্জি লোকেশনে।
সম্প্রতি ‘ব্রেথ’ নির্মাতা নার্গিস আবেয়ারের সাথে একান্তে আলাপ হয় চ্যানেল আই অনলাইনের। তার সাথে দীর্ঘ আড্ডায় উঠে আসে ইরানি চলচ্চিত্রের বর্তমান হাল হকিকত, সেখানকার থিয়েটারের খবর। ইরানের মতো ধর্মীয় শাসনের দেশে থেকেও কীভাবে ভালো, শিল্পমান উত্তীর্ণ সিনেমা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেখান নির্মাতারা সেসমস্ত কথা অকপটে বলেছেন তিনি। শুধু তাই না, নারী হিসেবে আলাদা যুদ্ধ করে টিকে থাকার গল্প করেছেন,সাহিত্যিক থেকে তার চলচ্চিত্র নির্মাতা হয়ে উঠার কাহিনিও বর্ণনা করেছেন নার্গিস। কথা প্রসঙ্গে বাদ যায়নি তার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের চিত্রটাও।
চলচ্চিত্র নিয়ে তার ভাবনা, আশাবাদ সমস্ত কিছুই শেয়ার করেছেন চ্যানেল আই অনলাইনকে। শিগগির আসছে পুরো সাক্ষাৎকারটি। পড়তে চোখ রাখুন চ্যানেল আই অনলাইনের বিনোদন পাতায়।
৯০তম অস্কার অ্যাওয়ার্ড-এর আসরে বিদেশি ভাষার ছবির শাখায় ইরান-ইরাক যুদ্ধ নিয়ে তৈরি ‘ব্রেথ’ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেলেও নির্মাতা হিসেবে তার পরিচিতি এনে দেয় ‘ট্র্যাক ১২৩’ নামের চলচ্চিত্রটি। এছাড়াও তিনি নির্মাণ করেছেন অবজেক্ট ইন মিরর নামের আরো একটি ফিচার ফিল্ম। বেশ কয়েকটি ডকুফিল্মও আছে তার। এরমধ্যে ওয়ান ডে আফটার দ্য টেন ডে, দ্য এন্ড ডে এবং কাইন্ড ডেড এন্ড উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশে নার্গিস আবেয়ারের সাথে থেকে সার্বক্ষণিক সবকিছুর তদারকি করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি সাহিত্য বিভাগের প্রভাষক মুমিত আল রশিদ।