সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম নামাজে জানাযা সকাল ১০টায় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সকাল পৌনে ১১টায় বাংলা একাডেমীতে দ্বিতীয় নামাজে জানাযার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ সকাল ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। বাদ যোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আরেকটি জানাযার পর কুড়িগ্রামে তাকে দাফন করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দ শামসুল হক। তার বয়স হয়েছিল ৮১। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৈয়দ হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে চ্যানেল আই পরিবার।
ক্যান্সারে আক্রান্ত সৈয়দ হক লন্ডন থেকে দেশে ফিরে ইউনাইটেড হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরমধ্যেই সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিলো।
চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত লেখক সৈয়দ শামসুল হক উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সস্ত্রীক লন্ডনে গিয়েছিলেন এ বছরের ১৫ এপ্রিল।
একইসঙ্গে যুক্তরাজ্যেরও নাগরিক হওয়ায় লন্ডনে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষের (এনএইচএস) নিয়মিত চিকিৎসকের (জিপি) মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করান তিনি। এরপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ম্যাকডোনাল্ডের তত্ত্বাবধানে লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।
পরে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ নিউসাম ডেভিসের তত্ত্বাবধানে চেলসি অ্যান্ড ওয়েস্টমিনস্টার হাসপাতালে কেমোথেরাপি নেন। কিন্তু টানা প্রায় তিন মাসের চিকিৎসা শেষে মন খারাপ করা খবর নিয়েই দেশে ফিরেছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন মাত্র ছয় মাস বাঁচবেন কবি।
মৃত্যুমুখে দাঁড়ানো এই সময়টা কবি জীবনের শেষ দিনগুলো কাটাতে চেয়েছেন নিজের দেশেই। তাই লন্ডন থেকে দেশে ফিরে ভর্তি হন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখতে যান তাকে। নেন তার যাবতীয় চিকিৎসার দায়ভার।